লালু-কন্যা মিসার অনুরোধে গলল বরফ। তাঁর সঙ্গেই ফোনে কথা বলার পর পাটলিপুত্র থকে লড়তে রাজি হলেন আরজেডি নেতা রামকৃপাল যাদব। তবে একই সঙ্গে তাঁর দাবি, “বিষয়টি আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদবকে নিজ মুখে ঘোষণা করতে হবে।”
জটিলতার সূত্রপাত হয়েছিল গত সন্ধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন লালু প্রসাদ যাদব। আর তার পর পাটলিপুত্র আসনের জন্য মেয়ে মিসার নাম ঘোষণা করেন তিনি। রামকৃপাল ক্ষুব্ধ হন তাতেই। কাউকে কিছু না-বলেই আজ সকালে চলে যান দিল্লিতে। সুইচড-অফ করে দেন মোবাইল ফোনটিও। খবর রটে, বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন তিনি। পরিস্থিতি সামলাতে তড়িঘড়ি দিল্লি পৌঁছন মিসা।
তার পর অবশ্য দিন ভর বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তাঁকে। রামকৃপালের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে তাঁর দিল্লির বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেন মিসা। কিন্তু দেখা হয়নি তাঁর সঙ্গে। অবশেষে ফোনে কথা হয় দু’জনের। মিসা রামকৃপালকে অনুরোধ করেন, পাটলিপুত্র থেকে তিনিই লড়ুন। তার জন্য যদি মিসাকে ভোটের ময়দান থেকে সরে যেতেও হয়, তা-ই যাবেন তিনি। আর তার পরেই মান ভাঙে আরজেডি-র সাধারণ সম্পাদকের।
দলীয় সূত্রের খবর, পাটলিপুত্র আসনটিতে লড়ার ইচ্ছা ছিল রামকৃপালের। আজ তিনি নিজেও সে কথা স্বীকার করেন। বলেন, “ওই আসন নিয়ে দলের সিদ্ধান্তে দুঃখ পেয়েছি।” এ বিষয়টি তিনি লালুকেও জানিয়েছেন বলে দাবি করেন। তবে দল থেকে তিনি যে ইস্তফা দেননি সে কথাও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তিনি।
সব শুনে লালু-পত্নী রাবড়ী দেবী অবশ্য বলেছিলেন, “উনি আমাদের পরিবারের সদস্য। কেন রাগ করেছেন তা-ই জানি না। পরিবারের মধ্যে সমস্যা হয়েছে। দ্রুত মিটে যাবে।” হলও তাই। ভাইঝি মিসার অনুরোধে শেষমেশ রাগ পড়ল রামকৃপালের।