যাদব ভোট দখলে মোদীর অস্ত্র রামকৃপাল

রামকৃপাল যাদবকে বিজেপিতে এনে এ বারে বিহারে লালু প্রসাদের ভোটেও থাবা বসাতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী। কালই বিজেপিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দিচ্ছেন দু’দশকের বেশি লালুর ছায়াসঙ্গী রামকৃপাল। তার আগে আজ দলের সভাপতি রাজনাথ সিংহের সঙ্গে দিল্লি বিমানবন্দরে বৈঠক করেন তিনি। গত এক সপ্তাহ ধরে বিহার বিজেপির দুই নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ ও ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে তিনি আলোচনা চালাচ্ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৪ ০৩:২৮
Share:

রামকৃপাল যাদবকে বিজেপিতে এনে এ বারে বিহারে লালু প্রসাদের ভোটেও থাবা বসাতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

কালই বিজেপিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দিচ্ছেন দু’দশকের বেশি লালুর ছায়াসঙ্গী রামকৃপাল। তার আগে আজ দলের সভাপতি রাজনাথ সিংহের সঙ্গে দিল্লি বিমানবন্দরে বৈঠক করেন তিনি। গত এক সপ্তাহ ধরে বিহার বিজেপির দুই নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ ও ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে তিনি আলোচনা চালাচ্ছিলেন। তাঁকে দলে এনে পাটলিপুত্র আসন থেকে প্রার্থী করা নিয়ে আগেই নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনা সেরে ফেলেছেন রাজনাথ। আলোচনা চূড়ান্ত হওয়ার পরেই রামকৃপাল লালুর সঙ্গ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “আগামিকাল দুপুর বারোটায় রামকৃপাল বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।” রামকৃপালও জানান, “আর একটি দিন অপেক্ষা করুন। কাল থেকে নতুন ইনিংস শুরু হবে।” এর আগে লালুর সঙ্গী রামবিলাস পাসোয়ানকে এনডিএতে সামিল করে নরেন্দ্র মোদী বিহারে আসন বৃদ্ধি সুনিশ্চিত করতে চেয়েছেন। এ বারে লালুর খাস লোক রামকৃপালকে দলে এনে লালুর ভোটেও থাবা বসাতে চাইছেন তিনি।

কয়েক দিন ধরেই রামকৃপালকে নিয়ে নাটক চলছে আরজেডি তথা বিহার রাজনীতিতে। রাজনৈতিক সূত্রে খবর, লালু-কন্যা মিসা ভারতীর বদলে পাটলিপুত্র থেকে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন রামকৃপাল। সে প্রস্তাব লালু খারিজ করে দেন। তার পরে রামকৃপাল বিকল্প প্রস্তাব দেন, তা হলে মিসা বা তিনি-কাউকেই প্রার্থী না করে অন্য কাউকে টিকিট দেওয়া হোক। লালু তা-ও মানেননি। লালুর সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক ছেদ করার সিদ্ধান্ত নেন রামকৃপাল। মিসা জানিয়েছিলেন, তিনি ‘রামকৃপাল চাচাকে’ বোঝানোর চেষ্টা করবেন। রামকৃপাল সাফ জানান, মিসা নাটক করছেন।

Advertisement

বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছেন, এর পর পাটলিপুত্র থেকে রামকৃপাল প্রার্থী হয়ে লালুর বিরুদ্ধেই প্রচার করবেন। পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য কী ভাবে দলের নেতাদের অবজ্ঞা করছেন লালু, সে কথা তুলে ধরবেন। বিহারে এখনও জাতপাতের রাজনীতি প্রবল। রামকৃপাল নিজে যাদব। রামকৃপালের এই প্রচার ওই সম্প্রদায়ে প্রভাব ফেলবে বলেই ধারণা বিজেপির। এক নেতার কথায়, “এ বারে বিহারের যা সমীকরণ দাঁড়িয়েছে, তার পর ৪০টি আসনের মধ্যে বিজেপি একা ৩০টি পেলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।”

নাম না করেই আজ রামকৃপালকে এক হাত নিয়েছেন লালু। তাঁর কথায়, “লোভী ব্যক্তিরা সাংসদ, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পিছনে ছুটছে। আর আমি সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছি।” সম্প্রতি নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য বলে ঘোষণা করেছিলেন নীতীশ কুমার। লালু তাঁকেও কটাক্ষ করেছেন বলে ধারণা রাজনৈতিক শিবিরের। রামকৃপালকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি পাটলিপুত্রে প্রচারে ব্যস্ত মিসা। তবে তাঁর স্বামী শৈলেশ সিংহ বলেছেন, “রামকৃপাল চাচা আগে বিজেপির লাড্ডু খান। পরে আমরা প্রতিক্রিয়া জানাব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement