মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেনে অরবিন্দ কেজরীবাল। বুধবার। ছবি: এএফপি।
আম আদমি পার্টির নেতা এসে বিপাকে ফেললেন আম আদমিকেই। মুম্বই সফরে এসে আপ নেতা অরবিন্দ কেজরীবাল অটো চড়লেন। উঠলেন ভিড় ট্রেনেও। আর তার জেরে নানা রকম ঝামেলার মুখে পড়তে হল সাধারণ মানুষকে।
এ দিনই দলের প্রার্থীদের পঞ্চম তালিকা প্রকাশ করেছে আপ। পুরনো মুখদের সরিয়ে নতুন মুখদের ভোটের টিকিট দেওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে দলে।
আজ সকালে মুম্বইয়ে পৌঁছে যান কেজরীবাল। সঙ্গে ছিল আপ-এর বেশ কিছু সমর্থক, নিরাপত্তা রক্ষী এবং টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকরা। ময়ঙ্ক গাঁধী, মীরা সান্যাল এবং মেধা পাটকরের মতো প্রার্থীদের জন্য প্রচারে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় এসেছিলেন কেজরীবাল। আর পাঁচ জন সাধারণ যাত্রীর মতো মুম্বইয়ের বিমানবন্দর থেকে অটোয় চড়ে পাঁচ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে আন্ধেরি স্টেশনে পৌঁছন তিনি। ৪৮ টাকা অটোভাড়াও দেন।
আন্ধেরি থেকে উঠে পড়েন মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেনে। গন্তব্য চার্চগেট স্টেশন। জানলার ধারের আসনে বসে আধ ঘণ্টার রেল সফর প্রাথমিক ভাবে নির্বিঘ্নে কাটলেও বিপত্তির শুরু চার্চগেট স্টেশনে। কেজরীবাল আসছেন শুনে উৎসুক জনতার ভিড় তো ছিলই। সঙ্গে নিত্যযাত্রীদের ভিড়। সব মিলিয়ে কেজরীবাল স্টেশনে নামছেন শুনেই শুরু হয়ে যায় তুমুল ধাক্কাধাক্কি। তার মধ্যে আবার এক দল যুবক আপ প্রধানকে কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা কোনও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেন। কেজরীবাল সংবাদমাধ্যমকে নিজের সুবিধেমতো ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ তাঁদের।
এই গণ্ডগোলে বেরোনোর সময় স্টেশনে লাগানো মেটাল ডিটেক্টরটিও উল্টে পড়ে যায়। ধাক্কাধাক্কিতে জখম হন কয়েক জন। কেজরীবালকে যে অটোচালক স্টেশন পৌঁছে দিয়েছিলেন, পুলিশ পরে তাঁকে জরিমানা করেছে। পুলিশের দাবি, ওই চালক তিন জনের বেশি যাত্রী নিয়েছিলেন।
মহারাষ্ট্রে কেজরীবালকে নিয়ে যখন এই ঝামেলা চলেছে, তখন আপ প্রার্থীদের মধ্যেও দলের প্রধানকে নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ। রায়বরেলী থেকে সনিয়া গাঁধীর বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হয়েছে সাজিয়া ইলামিকে। সাজিয়া দিল্লি বিধানসভা ভোটে দক্ষিণ দিল্লি আসনে মাত্র ৩২০ ভোটে হেরে গিয়েছিলেন। এ বারও চেয়েছিলেন দিল্লি থেকেই দাঁড়াতে। আর এক বিক্ষুব্ধ প্রার্থী কুমার বিশ্বাস। অমেঠি থেকে রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। গত সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশে গেলেও কুমারের কেন্দ্রে প্রচারে যাননি কেজরীবাল। এতে ক্ষুব্ধ কুমার। ইতিমধ্যে আপ নেতা যোগেন্দ্র যাদব আজ জানিয়েছেন, শীঘ্রই কলকাতা যাবেন কেজরীবাল।