বিহারে জাতপাতের অঙ্ক প্রায় ঘেঁটে দিয়ে নীতীশ কুমারের পায়ের তলার মাটি সরিয়ে নিলেন নরেন্দ্র মোদী। পরিস্থিতি এমনই, যে কোনও মুহূর্তে ভাঙতে পারে নীতীশের দল। রাজ্যে ক্ষমতাচ্যুত হতে পারেন নীতীশ। এ বার দলের মধ্যেই একঘরে হতে চলেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
আজ ফল প্রকাশ শুরু হতেই স্পষ্ট হয়ে যায় প্রত্যাশাকেও ছাপিয়ে যেতে চলেছে বিজেপি-জোট। দিনের শেষে রাজ্যের ৪০টি আসনের তিন-চতুর্থাংশই দখল করে নিল এনডিএ। মোদীর হাত ধরে ভোট বৈতরণী পার হয়ে গিয়েছেন রামবিলাস পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি ও নীতীশ কুমারের জেডিইউ ছেড়ে বেরিয়ে আসা উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় সমতা পার্টির প্রার্থীরাও। তবে ভাগলপুর আসনে হেরে গিয়েছেন বিজেপি-র সংখ্যালঘু মুখ শাহনওয়াজ হুসেন। তবে নীতীশ তাঁর দলের সর্বভারতীয় সভাপতি শরদ যাদবকেও জেতাতে পারেননি।
দেশের দলীয় রাজনীতির চিরন্তন রীতি মেনেই এ বার দলের মধ্যে নীতীশের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। জেডিইউয়ের এক অংশ এই ফলাফলের জন্য নীতীশের ‘একক’ সিদ্ধান্তকে দায়ী করেছে। নীতীশের দলের এক অংশ চেয়েছিল, কংগ্রেস-জেডিইউ জোট। তাঁদের মতে, নীতীশ কুমার নিজ সিদ্ধান্তে অনড় থেকে তৃতীয় ফ্রন্ট তৈরির পিছনে যে ভাবে দৌড়লেন তাতে দলের প্রভূত ক্ষতি হল। মেয়াদ ফুরনোর আগেই নীতীশ ইস্তফা দেবেন কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে। যদিও এই যুক্তি মানতে চাননি দলের মুখপাত্র এবং সাধারণ সম্পাদক কে সি ত্যাগী। ফলাফল বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে রাজ্য কংগ্রেসেও। তাদের একটি অংশের মতে, কংগ্রেস লালুর সঙ্গে জোটে গিয়ে ভুল করেছিল। দুর্নীতি যেখানে প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেখানে পশুখাদ্য মামলায় দোষী লালুপ্রসাদকে সঙ্গে নেওয়ায় ভুল বার্তা গিয়েছে। হেরে গিয়েছেন লালুর স্ত্রী রাবড়ী ও মেয়ে মিসাও।