অরবিন্দ কেজরীবালকে আটক করার প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনকে পাশে পেল গুজরাত প্রশাসন। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন জানাল, গত কাল যে ভাবে রোড-শো করেছিলেন আপ প্রধান, তা নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার সামিল। কমিশনের এ হেন মন্তব্যে সুযোগ পেয়ে আপের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন অরুণ জেটলি। বললেন, “হিটলারের প্রচারের দায়িত্বে থাকা গোয়েবেলস যদি ফের জন্মাতেন, তা হলে তিনি আপ-এই যোগ দিতেন।”
কেন এই মন্তব্য? জেটলির ব্যাখ্যা, গোয়েবেলসের নীতি অনুসরণ করে কেজরীবাল একটা মিথ্যেই বার বার বলে চলেছেন। যাতে তা সত্যি ভাবতে শুরু করেন জনতা। কী মিথ্যে? আসলে বেশ কিছু দিন ধরেই আপ প্রধান দাবি করে আসছেন গুজরাত উন্নয়নের মডেল নিয়ে নরেন্দ্র মোদী যা বলেন, তা অতিরঞ্জিত। এমনকী, গত কাল গুজরাত প্রশাসন তাঁকে যে আটক করেছিল, তার পরোক্ষ কারণও তাঁর মোদী-বিরোধী দাবিই, জানান অরবিন্দ।
কিন্তু এ দিন নির্বাচন কমিশনার এইচ এস ব্রহ্ম বলেছেন, “কেজরীবাল নিয়ম ভেঙেছেন। কারণ সকলেই জানেন নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই দেশে আচরণবিধি বলবৎ হয়।” কমিশন সূত্রের খবর, গত কাল সাংবাদিক সম্মেলনের পরে জানা যায়, গুজরাতে রোড শো করছেন কেজরীবাল। এ জন্য তিনি অনুমতি নেননি। কেজরীবালের কনভয় আটকাতে পাটনের জেলা-শাসককে নির্দেশ দেয় কমিশন। জেলা-শাসক কমিশনকে রিপোর্টে লিখেছেন, কেজরীবাল জানান, তাঁর কনভয়ে অধিকাংশ গাড়িই সংবাদমাধ্যমের। তাই অনুমতি নেবেন না।
আর তার পরেই তাঁকে আটক করা হয়। যার জেরে দিল্লিতে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু’দলের সমর্থকরা। সেই কাণ্ডের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এ দিন আপ নেতা আশুতোষ ও সাজিয়া ইমলিকে পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় নিয়ে গিয়ে জেরা করে দিল্লি পুলিশ। এ দিন আপের তরফে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করা হয়, সতিটা জানতে তাঁরা যেন তদন্ত শুরু করেন। এ দিনও আমদাবাদে আপ নেতা মণীশ সিসৌদিয়ার গাড়িতে হামলা হয়েছে। আপের দাবি, আজকের ঘটনার পিছনেও বিজেপিই দায়ী।
সব শুনে এ দিন কংগ্রেস মুখপাত্র তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী তারুর বলেন, “গুজরাতের ব্যাপারে মোদী যে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বলেন তা আমরা আগেই বলেছিলাম। কেজরীবাল ভুল কিছু বলছেন না।” তবে একই সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, “কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকারের বিকল্প যাঁরা হতে চাইছেন, তাঁদের আসল চেহারাটাও এ ঘটনায় পরিষ্কার হয়ে গেল।”