এক মাসের মধ্যে তিন বার সংঘর্ষবিরতি ভাঙল পাকিস্তান। আর তার জেরে প্রাণ হারালেন জম্মুর পিট্টল আউপোস্টে কর্মরত এক বাঙালি বিএসএফ জওয়ান। নাম সঞ্জয় ধর। বিএসএফ সূত্রে খবর, ১৯২ ব্যাটেলিয়নের এই কনস্টেবল কোচবিহারের বড়োশাকদল গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবারের এই হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ছ’জন। তাঁদের মধ্যে তিন জন নিরাপত্তাকর্মী, বাকি তিন জন শ্রমিক।
সঞ্জয়বাবুর কাকা অনিল ধর জানান, এক মাস আগে তাঁর ভাইপো বাড়িতে এসেছিলেন। দিন পনেরো ছুটি কাটিয়ে কর্মক্ষেত্রে ফিরে যান। অনিলবাবু বলেন, “সঞ্জয় রাজস্থান সীমান্তে ছিল। ছুটির পরে সে জম্মুতে গিয়ে কাজে যোগ দেয়।” এ দিন বেলা তিনটের সময় গ্রামের বাড়িতে খবর আসে যে, সঞ্জয়বাবু মারা গিয়েছেন। বছর তিনেক আগে তিনি বিয়ে করেছেন। তাঁর একমাত্র সন্তানের নাম জয়িতা। মা ও দুই ভাইও রয়েছেন। প্রধানত সঞ্জয়বাবুর রোজগারেই সংসার চলে। বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, এ দিন বেলা ১১টা বেজে ১৫ মিনিট ভারতের তরফ থেকে কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়াই আচমকা নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে পাকিস্তান রেঞ্জার্স। বিষয়টি ভারতীয় সেনা পোস্টের উপর পাক ‘বর্ডার অ্যাকশন টিম’-এর পরিকল্পিত হামলা নয়। বরং অনেকটা এলোপাথাড়ি হানা হিসেবেই একে বর্ণনা করছে বিএসএফ। তাদের হিসেব অনুযায়ী, এ মাসে তৃতীয় বার সংঘর্ষবিরতি ভাঙল পাকিস্তান। কিন্তু কেন হঠাৎ এ হেন হামলা তা খতিয়ে দেখছেন উচ্চপদস্থ বিএসএফ অফিসাররা। সম্প্রতি সাম্বা জেলার চাম্বিলিয়াল বর্ডার আউটপোস্টে ফ্ল্যাগ মিটিং করেছে ভারত-পাক সেনাবাহিনী। তাতে জিরো লাইন বরাবর যে সব ঝোপঝাড় রয়েছে, নজরদারি চালানোর কাজে সুবিধার জন্য তা পরিষ্কার করার সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নেয় দু’পক্ষ। তার পরেই এই সংঘর্ষবিরতি ভেঙে দেওয়া কিছুটা ধন্দেও ফেলেছে বিএসএফকে।