আগরতলার দক্ষিণ রামনগরে বিএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের সংঘর্ষে কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছিল। ৬ জুন রাতের ওই ঘটনার তদন্তে সোমবার রামনগরে বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক অভিষেক সিংহ। ছবি: বাপি রায়চৌধুরী
সীমান্ত লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে বিএসএফ জওয়ানদের সমন্বয় বাড়াতে আগ্রহী ওই বাহিনীর শীর্ষ কর্তা। গত কাল আগরতলায় অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে এমনই বার্তা দিয়েছেন বিএসএফের ডিজি দেবেন্দ্র কুমার পাঠক। বিএসএফ সূত্রে এই খবর মিলেছে।
৬ জুন রাতে আগরতলার কাছে দক্ষিণ রামনগর এলাকায় বিএসএফ জওয়ান-জনতা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক জওয়ান-সহ দু’জনের মৃত্যু হয়। সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চান না বাহিনীর ডিজি।
এ দিকে, দক্ষিণ রামনগরে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে আজ ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত শুরু হল। ১৫ দিনের মধ্যে পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক অভিষেক সিংহ রাজ্য সরকারের কাছে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেবেন। অভিষেকবাবু বলেন, ‘‘ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেছি। কী কারণে সে দিন গুলি চালানো হয়েছিল, কী ভাবে এক বিএসএফ জওয়ান এবং এক জন স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয়, তা তদন্ত শেষ না-হলে বলা যাবে না।’’
রাজ্যে বিএসএফ সদর দফতরের উচ্চপদস্থ অফিসার ভাস্কর রাওয়াত জানান, জওয়ানের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তাঁরা ‘কোর্ট অফ এনকোয়ারি’ বসিয়েছেন। সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই তার কাজ শেষ হবে। বিএসএফ কর্তা জানান, কী ভাবে জওয়ানের মৃত্যু হল, কেনই বা গ্রামবাসীদের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ শুরু হল, তা দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, “গত কাল আগরতলায় এক বৈঠকে বিএসএফ ডিজি সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে জওয়ানদের সমন্বয় বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দিয়েছেন।”