উড়ানে ফের দুর্ভোগ সেবিকার অভাবেই

কখনও যান্ত্রিক ত্রুটি। কখনও বিমানসেবিকার ঘাটতি। এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানে যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কাটছেই না। কর্মী-সঙ্কটের জেরে সোমবারেও ফের হয়রানির শিকার হতে হল তাঁদের। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এ দিন সকালে দিল্লি থেকে কলকাতায় আসার কথা ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-৪০১ উড়ানের। কিন্তু পর্যাপ্ত বিমানসেবিকা না-থাকায় সেটি বাতিল হয়ে যায়। তার পরেই কলকাতা থেকে দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল ওই বিমান সংস্থার এআই-০২১ উড়ানের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:৩৭
Share:

কখনও যান্ত্রিক ত্রুটি। কখনও বিমানসেবিকার ঘাটতি। এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানে যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কাটছেই না। কর্মী-সঙ্কটের জেরে সোমবারেও ফের হয়রানির শিকার হতে হল তাঁদের।

Advertisement

বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এ দিন সকালে দিল্লি থেকে কলকাতায় আসার কথা ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-৪০১ উড়ানের। কিন্তু পর্যাপ্ত বিমানসেবিকা না-থাকায় সেটি বাতিল হয়ে যায়। তার পরেই কলকাতা থেকে দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল ওই বিমান সংস্থার এআই-০২১ উড়ানের। আগের উড়ানটি কলকাতায় না-আসায় বাতিল করে দিতে হয় সেটিও। পরের উড়ানগুলিও নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরে ওড়ে। বৃহস্পতিবার একই কারণে নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় সাত ঘণ্টা পরে উড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান।

তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে কর্মী-সঙ্কটের প্রভাব পড়ছে সংস্থার যাত্রীদের উপরে। সংস্থার একাংশ তা স্বীকার করে নিয়ে বলছেন, “এ ভাবে বারবার উড়ান বাতিল হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে।” বিমান মন্ত্রক নির্দেশ দিয়েছে, দেরি করে বিমান ছাড়ার ঘটনা যতটা সম্ভব কমিয়ে ফেলতে হবে। এমনকী এ বার থেকে উড়ানের দেরি হলে খতিয়ে দেখা হবে তার কারণও। যদি দেখা যায় দেরির জন্য কোনও কর্মী-অফিসার দায়ী, তা হলে তাঁর বা তাঁদের বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়া হবে। ওই নির্দেশের ভিত্তিতে নিয়মশৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য সংস্থার অফিসারেরা প্রাণপণ চেষ্টা করছেন বলে এয়ার ইন্ডিয়ার দাবি।

Advertisement

এ দিন দিল্লি এবং কলকাতা বিমানবন্দরে আটকে থাকা যাত্রীদের জন্য অতিরিক্ত উড়ানের ব্যবস্থা করে এয়ার ইন্ডিয়া। দিল্লি ও কলকাতার যাত্রীদের জন্য ব্যবহার করা হয় ওই সংস্থার দিল্লি-ঢাকা রুটের আন্তর্জাতিক উড়ান। বিমান সংস্থা জানায়, দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের নিয়ে রওনা হওয়ার সময় কলকাতার ৭০ জন যাত্রীকে ওই আন্তর্জাতিক উড়ানে তুলে দেওয়া হয়। সেই উড়ান কলকাতায় যাত্রী নামিয়ে ঢাকা উড়ে যায়। একই ভাবে ঢাকা থেকে দিল্লিগামী উড়ানকেও নামানো হয় কলকাতায়। এখান থেকে ৯০ জন যাত্রী নিয়ে রাজধানী উড়ে যায় বিমানটি। সন্ধ্যার পরের উড়ানগুলিতে বাকি যাত্রীদের যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে বলে সংস্থার দাবি।

প্রতি সপ্তাহে যাত্রীদের নাজেহাল হওয়ার কারণ হিসেবে বিমান সংস্থার পক্ষ থেকে বারবার কর্মী-সঙ্কটের কথা বলা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, সংস্থায় কর্মী-সঙ্কট এমন প্রকট হয়ে উঠল কেন?

উত্তরে দু’টি তথ্য তুলে ধরছেন কর্তৃপক্ষ।

এখন সংস্থায় আছেন তিন হাজারেরও বেশি বিমানসেবিকা। তাঁদের মধ্যে অনেকেই দীর্ঘদিনের ছুটি নিয়েছেন। তাঁরা ছুটিতে থাকায় যে-ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ না-হওয়ায় বারবার সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

এয়ার ইন্ডিয়া দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে। নতুন রুটে নতুন উড়ান চালু হচ্ছে। সেই তুলনায় সংস্থায় পর্যাপ্ত সংখ্যায় বিমানসেবিকা নেই। ফলে কিছু কিছু উড়ানের সময় বিমানসেবিকাদের পাওয়াই যাচ্ছে না। বাতিল হচ্ছে উড়ান। বদলাতে হচ্ছে উড়ানের সময়।

সঙ্কট মেটানো হচ্ছে না কেন?

এই সরকারি বিমান সংস্থার দাবি, দ্রুত কর্মী-সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে মার্চের মধ্যেই প্রায় ৮০০ বিমানসেবিকা নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। “নবিশ বিমানসেবিকাদের প্রশিক্ষণ শেষ করে কাজ শুরু করতে কিছু সময় লাগবে। যাত্রীদের যে-হয়রানি হচ্ছে, তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে,” এ দিনই বলেছেন এয়ার ইন্ডিয়ার এক মুখপাত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement