বুথে ঢুকে ইভিএম ভাঙার অভিযোগ উঠল লালু-তনয়া, পাটলিপুত্র কেন্দ্রের আরজেডি প্রার্থী মিসা ভারতীর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি মুঙ্গেরের দুই বাহুবলী নেতা, জেডিইউ বিধায়ক আনন্দ সিংহ এবং লোকজনশক্তির সূরজ ভান সিংহকে ‘নজরবন্দি’ করল পুলিশ।
তা ছাড়া, আজ বিহারের সাতটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট-পর্ব মিটল শান্তিতেই। সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন জানায়, ভোট পড়েছে ৫৪ শতাংশ। গত বার তা ছিল প্রায় ৪০ শতাংশ।
সকালের দিকে কিছুটা উত্তেজনা ছড়ায় পাটলিপুত্র কেন্দ্রের বিক্রম বিধানসভা এলাকার ডিহরি গ্রামের ৩৪ নম্বর বুথে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ অভিযোগ তোলেন, সেখানে ভোট-যন্ত্র ভেঙে দিয়েছেন লালু প্রসাদের মেয়ে মিসা। তবে এ কথা অস্বীকার করে লালুর জামাই শৈলেশ কুমার বলেন, “ওই বুথে দরজা বন্ধ করে ছাপ্পা ভোট দেওয়া হচ্ছিল। মিসা সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ করেন।” আরজেডি-র মুখপাত্র মনোজ ঝা বলেন, “ওই বুথে ভোট বাতিল করার জন্য প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন মিসা। সেখান থেকে বের হওয়ার সময় তাঁর মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। মিসার হাতে আঘাত লাগে।” রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অজয় ভি নায়েক বলেন, “পাটলিপুত্র কেন্দ্রের ওই প্রার্থী এক দেহরক্ষীকে নিয়ে বুথে ঢুকেছিলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে এ নিয়ে তদন্ত করা হবে।” ভোটার না হওয়া সত্ত্বেও পাটলিপুত্রের একটি কেন্দ্র জোর করে ঢুকে পড়ায় অভিযোগ দায়ের করা হয় আরজেডি প্রার্থী মিসা ভারতীর বিরুদ্ধে। নয়াদিল্লিতে উপ নির্বাচন কমিশনার অলোক শুক্ল জানান, বুথে জোর করে ঢুকতে গেলে কমিশনের কর্মীরা মিসাকে আটকান। দু’পক্ষের ঝামেলা শুরু হয়। মিসার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিছু ক্ষণ পরেই জনা চল্লিশেক ব্যক্তি ওই বুথে ঢুকে ভাঙচুর চালান। তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জঙ্গি-নাশকতা, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সক্রিয় ছিল প্রশাসন। মুঙ্গের লোকসভা কেন্দ্রে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ পেয়ে মোকামার জেডিইউ বিধায়ক আনন্দ সিংহ এবং লোকজনশক্তি পার্টির নেতা সূরজ ভান সিংহকে ‘নজর-বন্দি’ করা হয়। সূরজ ভানের স্ত্রী বীণাদেবী ওই কেন্দ্রের প্রার্থী। পূর্ব চম্পারণে মাওবাদী সন্দেহে অস্ত্র-সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ দিন বিহারে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ হয় মুঙ্গের, নালন্দা, পটনা সাহিব, পাটলিপুত্র, আরা, বক্সার, জহনাবাদে। কমিশন জানায়, কয়েকটি জায়গায় ইভিএম খারাপ হয়েছিল। দ্রুত সে গুলি বদলে দেওয়া হয়।
ভোটার স্লিপ না-থাকায় অনেকে এ দিন ভোট দিতে পারেননি। ভোটার তালিকায় নাম না-থাকায় একই এ বারও ভোট দিতে পারেননি রাজ্য পুলিশের ডিজি অভয়ানন্দও। তিনি বলেন, “কাজের চাপে ভোটার তালিকার নাম রয়েছে কি না, তার খোঁজ নিতে পারেনি।”