গিবনের রোমান এম্পায়ার বইতে একটি গল্প রয়েছে। গল্পটি হল : বড় হয়ে কেউকেটা হব, এই আশায় গ্রাম ছাড়ে দুই বন্ধু। ওরা কিশোর। তারপর অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দুজনেই একদিন রোমে এসে পৌঁছয়। শেষ পর্যন্ত দুজনের একজন হয় পানশালার ওয়েটার। অন্যজন রোম সাম্রাজ্যের সেনেটর। কেউকেটা হওয়ার লোভে ঘুরপাক খেতে গিয়ে গ্রাম ছাড়ার পর থেকে দুজনেরই আর ঘরে ফেরা হয়নি। মা-মাসির মুখও দেখা হয়নি। যাই হোক, অবশেষে যে বন্ধু পানশালার ওয়েটার, তার ফুরসত মেলে ঘরে ফিরে মায়ের সঙ্গে দেখা করার। সে ছুটিতে গ্রামে ফেরার আগে সেনেটর বন্ধুর কাছে গিয়ে জানতে চায়, তার মা-র জন্য কিছু নিয়ে যেতে হবে কি না, বা তার মাকে বিশেষ কিছু বলার আছে কি না? সেনেটর বন্ধুর উত্তর, তোমার হাত দিয়ে মায়ের জন্য উপহার আমি অবশ্যই পাঠাব, কিন্তু মাকে বোলো না যেন আমি রাজনীতি করি। আমার মা জানে আমি বেশ্যালয়ে বাদ্যযন্ত্র বাজাই। রাজনীতি করি জানলে মা বড় কষ্ট পাবেন।
এই গল্পটা এ বঙ্গে রাজনীতির কুরঙ্গে কিছু রাজনৈতিক কুশীলবের জন্য বড়ই প্রাসঙ্গিক। তখনকার দিনে সর্বত্রবিহারী সংবাদ মাধ্যম ছিল না। তাই মায়ের কাছ থেকে নিজেকে আড়ালে রাখার সৌভাগ্য হয়েছিল রোমান সেনেটরের। কিন্তু আমাদের এক সময়ের অর্থমন্ত্রী অশোক মিত্রের তা হয়নি। বহু বছর আগে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এক নির্বাচনী পথসভায় বিধানসভা ও লোকসভার কী হাল দাঁড়িয়েছে তা নিয়ে তাঁকে আক্ষেপ করতে শুনেছিলাম। মনে আছে, তৎকালীন অর্থমন্ত্রীমশাই বলেছিলেন, “বিধানসভা চলাকালীন মা প্রায়ই জানতে চান, হ্যাঁরে, তোকে তো আমি কিছু লেখাপড়া শিখিয়েছিলাম। তা তুই এ কোথায় যাস? কাদের সঙ্গে বসিস?”
একই ধরনের আক্ষেপ শোনা যায় আর এক বঙ্গতনয়ের গলায়। সংসদীয় গণতন্ত্রকে সম্মানের আসনে বসানোর পিছনে যাঁর কিছুটা অবদান রয়েছে। তিনি হলেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। ২০০৪ সালে লোকসভার অধ্যক্ষ হওয়ার দিন থেকে আজ পর্যন্ত, সুযোগ পেলেই বলে আসছেন সংসদ কী ছিল আর এখন কী হয়েছে। সংসদ কক্ষের ভিতরে ঘটে চলা একটা বড় অংশের সাংসদদের অ-সংসদীয় কীর্তিকাহিনি আমজনতার চক্ষুগোচর হয় না। যদি লোকচক্ষুর আওতায় আনা যায় তা হলে হয়তো ছবিটা বদলাবে। এই আশায় লোকসভা টিভি-র জন্ম। কিন্তু সংসদের অধিবেশনের সরাসরি সম্প্রচার কিছুই করতে পারল না। সাংসদদের যে অংশের আচরণ সংসদকে কালিমালিপ্ত করে চলেছে তাঁরা কিন্তু অপরিবর্তিতই রয়ে গেলেন।
গ্রামবাংলায় একটি প্রচলিত প্রবাদ আছে, ‘হাগুন্তির লাজ নেই, দেখুন্তির লাজ।’ দেশের ইতিহাসে বাংলার একটা স্বকীয়তা আছে। বৈশিষ্ট্য আছে। এ ক্ষেত্রেও থাকবে না, তা কি হয়! অন্যান্য রাজ্যের সাংসদরা বাহুবলে বলীয়ান হতে পারেন। পেশিশক্তির আধিক্য থাকলে মগজাস্ত্র মোটেই কল্কে পায় না। তাই কেউ কেউ লুকিয়ে সংসদে মরিচ গুঁড়ো নিয়ে যান। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ তো বাহুবলে নয়, বাক্যবলে বলীয়ান। মগজাস্ত্র তার জিভের ডগায় বাছা বাছা শব্দবাণ জুগিয়ে দেয়। আর সেই শব্দবাণে মেদিনী কাঁপিয়ে দেওয়া কোনও ব্যাপার নয়।
তবে এই বাংলায় অন্যান্য ক্ষেত্রে সূচক নিম্নমুখী হলেও চোখা চোখা শব্দব্যবহারের সূচক বরাবরই ঊর্ধ্বগামী। এ ক্ষেত্রে অনিল বসু, অনুব্রত মণ্ডল, মনিরুল ইসলাম ও আনিসুর রহমানদের অবদান সংখ্যাতত্ত্বে প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবিশের অবদানের সঙ্গে তুলনীয়। তবে ওই বিষয়ে অনেক অনামী-বেনামী কারিগর রয়েছেন যারা প্রতি মুহূর্তে সোনার বাংলার এই ক্ষেত্রকে উর্বর করে চলেছেন।
এক সাংবাদিক বন্ধুর কাছে শোনা ঘটনা। ১৯৯৮ সালের লোকসভা নির্বাচন। একটু বেলা গড়াতে বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেরিয়েছেন ভোট কেমন হচ্ছে দেখতে। সেই দিন দিদির গাড়ির চাকায় মানুষ জড়িয়ে যাওয়ার ছবিটা ছিল না। গাড়িতে তিনি একা। এবং সঙ্গে একজন মাত্র দেহরক্ষী। আর পিছনে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের গাড়ির লাইন। এ রাস্তা সে রাস্তা ঘুরে গাড়ি এসে দাঁড়াল কসবায় একটি স্কুলের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে। শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ। যত দূর চোখ যায় ভোটার নামক প্রাণীর কোনও চিহ্ন নেই। অথচ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোট পড়ছে। একটু দ্রুতই পড়ছে।
অবৈধ ভোট রুখতে পুলিশের খোঁজ করতে গিয়ে সে দিনের বিরোধী নেত্রী দেখেন আশপাশে একজন লাঠিধারী হোমগার্ডও নেই। তাঁর চরিত্র অনুযায়ী অবৈধ ভোটদান রুখতে স্কুলের উঠোনে রাখা বেঞ্চিতে বসে পড়েন বিরোধী নেত্রী। সেই খবর হাওয়ায় ভাসতেই একে একে জড়ো হতে লাগলেন স্থানীয় নেতা ও কর্মীরা। একে তো হাতের নাগালে বিরোধী দলনেত্রী একা। তার ওপর ‘অবাধ’ ভোটদানে বাধা দেওয়া। ফলে মার্ক্সবাদে, লেনিনবাদে শিক্ষিত ক্যাডার ও নেতাদের শব্দবাণের ব্যবহার শুরু। আমার সাংবাদিক বন্ধুর সে দিন মনে হয়েছিল লালদুর্গের সেনানীদের যে কোনও একজন একাই অশ্রাব্য শব্দের গোটা একটা অভিধান লিখে ফেলতে পারবেন।
শেষ পর্যন্ত সাংবাদিকদের এবং দেহরক্ষীর চাপাচাপিতে অকুস্থল থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহাকালের দরবারে তিন দশকের কিছুটা বেশি সময় একটা পেন্সিলের আয়ুর সমান হতে পারে, কিন্তু মানুষের জীবনে তো তা নয়। তাই পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ভাষার ঐতিহ্যে এই সময়কালের একটা বড় অবদান রয়েছে। তাই এ রাজ্যের বর্তমান যে কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে গেলে ধান ভানতে শিবের গীতের মতো বাম জমানা এসে পড়বেই। বাম জমানার চালচিত্রে অনেক বিগ্রহই ঠাঁই পেয়েছেন। তবু সেই ফর্দে সিপিআইএম-এর প্রয়াত রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের নাম একটু আলাদা ভাবে স্মরণ করতেই হবে।
শুধুমাত্র শিক্ষাক্ষেত্রে অনিলায়নেই তো তাঁর অবদান সীমিত নয়। দলীয় ভাষা নির্মাণেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। ৯০’এর দশকের গোড়া থেকেই সিপিআইএম নেতৃত্ব বুঝতে পারছিলেন পায়ের তলার জমি সরছে। তাই সেই সময় থেকেই আলিমুদ্দিনের কর্তাদের মেজাজের পারদ চড়াও শুরু। অনিল বিশ্বাসের জমানায় প্রতিদিন বিকেলে সাংবাদিকরা আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের সিপিআইএম দফতরে গিয়ে জড়ো হতেন। প্রায় প্রতিদিনই বিকেল পাঁচটা থেকে সওয়া পাঁচটার মধ্যে গাড়ি চেপে বাড়ি থেকে এসে পার্টি অফিসে ঢুকতেন অনিল বিশ্বাস। সদর দফতরের নীচে দাঁড়িয়েই সাংবাদিকরা টুকটাক প্রশ্ন করতেন। তিনি উত্তর দিতেন। যে দিন সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলার থাকত সে দিন উপরে ডাক পড়ত।
২০০১ সালে এরকমই এক বিকেল। সে দিন অবশ্য হাতে গোনা কয়েক জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায়শই অভিযোগ করতেন, তাঁকে প্রাণে মারার চেষ্টা করছে সিপিআইএম। সে দিন সবে গাড়ি থেকে নেমেছেন ছোটখাটো চেহারার অনিল বিশ্বাস। কোনও এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, সিপিআইএম কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাণে মারার চেষ্টা করছে? অনিলবাবুর উত্তর ছিল, ‘ও তো যমের অরুচি। ওকে কে মারবে?’
এই সুললিত মন্তব্যের কিছু পরেই অবশ্য গণশক্তির এক সাংবাদিক সে দিন আলিমুদ্দিনে উপস্থিত সাংবাদিকদের বললেন, অনিলদা বলেছেন এই বিষয়ে যেন কিছু না লেখা হয়। ফলে ভাষা ব্যবহারে আগলটা হঠাৎই উবে গিয়েছে তা নয়। শুরুটা অনেক আগেই হয়েছিল। এখন রাজনীতিতে এটা অনেকটা ছোঁয়াচে রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর হবে নাই বা কেন? এখন তো বাজারে কুবাক্যের চাহিদা ব্যাপক।
সিনেমা, সাহিত্য, আড্ডা, সর্বত্রই খিস্তি ব্যবহার করলে অনেক সুফল পাওয়া যাচ্ছে। এক দিকে যেমন মানুষের শোনার বা দেখার উৎসাহ বাড়ছে, অন্য দিকে সিনেমা-সাহিত্যে খিস্তি ব্যবহার করে বেশ ইন্টেলেকচুয়াল সাজা যাচ্ছে। অনেকে তো গল্প-উপন্যাসে খিস্তি ব্যবহার করে নিজের সৃষ্টিকে সমরেশ বসুর ‘বিবর’ বা ‘প্রজাপতি’র সঙ্গে একাসনে বসিয়ে আত্মপ্রসাদ লাভ করছেন। এই সব লেখকের অবশ্য যুক্তি আছে। তাঁরা বলছেন, শিল্পে জীবনের যথার্থ প্রতিফলন ঘটাতে গেলে আসলটাই তো দেখাতে হবে। অর্থাৎ সমাজের যে অংশটিকে শিল্পে তুলে আনা হচ্ছে তার যথার্থ প্রতিফলন দরকার। সেই অংশ যে ভাষায় কথা বলে তা তো রাখতেই হবে।
এ যেন অনেকটা মাতালের চরিত্রে যথার্থ অভিনয় করার জন্য আকণ্ঠ মদ্যপানের প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরা। তবে কথা হল, আমজনতা এখন রাখঢাক ছাড়া খোলাখুলি গালাগালির ব্যবহার খাচ্ছে বেশি।
এক বাঙালি ধনী ব্যক্তির গল্প শুনেছিলাম। তাঁর নাকি মাইনে করা খিস্তিবাজ ছিল। প্রতিদিন দুপুরে ঘুমোনোর সময় এবং রাতে খাওয়ার সময় পোষা খিস্তিবাজ তাঁকে গালাগালি শোনাত। এর জন্য তাকে নিত্যনতুন গালাগালি তৈরি করতে হত। জানি না সেই ধনী ভদ্রলোকের ‘জিন’ সমাজে হঠাৎই ছড়িয়ে পড়ল কি না। গালাগালির চড়া বাজার শুধু সিনেমা-সাহিত্যে নয়, তা এখন ছড়িয়ে পড়ছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটেও।
সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তাপস পালের কুকথার পর নেটওয়ার্কিং সাইটে যে সমস্ত কমেন্ট করা হয়েছে তা তো সাংসদের থেকে কিছু কম যায় না। অস্বীকার তো করা যাবে না যে, ‘আমি যদি এক বাপের ব্যাটা হই তো দেখে নেব’ অথবা ‘আমি যদি মায়ের দুধ খেয়ে থাকি তো বুঝে নেব’ ইত্যাদি বাক্যবন্ধ তো ‘অসতো মা সদ্গময়ঃ’-এর থেকে কয়েক লক্ষ গুণ বেশি আদরণীয়। শহর থেকে গ্রাম, কোন কথায় কত হাততালি তা মাপার জন্য বিশেষ গবেষণা চালানোর প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক সংস্কৃতির দিকে তাকালেই চলবে।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর পরিসংখ্যানে বেশ কয়েক বছর ধরেই রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের স্থান এক নম্বরে। এখানে রাজনৈতিক পরস্পরবিরোধিতার ভাষা নির্মাণ করে ঘৃণা। ফলে ‘কেটে ফেলব, রেপ করিয়ে দেব’ অথবা যা হবে বুঝে নেব-গোছের বাক্যবন্ধের কদর আমজনতার দরবারে যে ভাল বিকোবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে এই বেচাকেনার টাইমিংটা বুঝতে হবে।
জনতা জনার্দন সঙ্গে থাকলে ভালই বিকোবে। সঙ্গে না থাকলে বামফ্রন্টের দশা হবে। অর্থাৎ সঙ্গে আছে কি নেই তা আন্দাজ করতে না পেরে যা হয়েছে বিনয় কোঙার, অনিল বসু, আনিসুর রহমানদের। তাই নন্দীগ্রাম পর্বে বিনয় কোঙার যখন মেধা পাটকরদের হুমকি দিচ্ছেন, ‘চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে লাইফ হেল করে দেব’, অথবা ‘ওরা নন্দীগ্রামে গেলে মানুষ পাছা দেখাবে’, তখন উনি জানেন না যে হাতের মুঠোয় জল ধরতে যাচ্ছেন। একই অবস্থা অনিল বসুর বা আনিসুর রহমানের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন দুজনেই। দুজনেই বিরোধী দলনেত্রী সম্পর্কে ছাপার অযোগ্য মন্তব্য করেছেন। মানুষ তা ভাল ভাবে নেননি। নেননি তার কারণ মানুষের বামেদের আর পছন্দ হচ্ছিল না। অধিকাংশ মানুষ যে বামেদের ভাষা শালীনতা হারাচ্ছে, তাই পছন্দ করছেন না, এমনটা মনে হয় না। অর্থাৎ বলতে চাইছি কুকথাকে মানুষ যে কখনও প্রশ্রয় দেয় না, তা নয়। তবে মানুষ পছন্দ করলেন কী করলেন না প্রশ্নটা সেখানে নয়। প্রশ্নটা হল, বামপন্থীরা তো সুস্থ সংস্কৃতির কথা বলে থাকেন। তারা যাঁকে মহামতি মানেন সেই লেনিন ভাষা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “মানুষের মুখের ভাষায় বস্তুগত এবং ভাবগত এই উভয় দিক নিয়েই ভাষাবিজ্ঞান আলোচনা করে থাকে। সামাজিক প্রয়োজনীয়তা এবং সামাজিক ক্রিয়াকলাপের মাপকাঠিতে বিচার করলে ভাষাকে কেবলমাত্র একটি পৃথক বা স্বতন্ত্র বস্তু আখ্যা দেওয়া চলে না। মানুষের চিন্তা, সামাজিক চেতনা এবং প্রত্যক্ষ জগতের বাস্তবতার সঙ্গে ভাষা প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত।”
জানি না, যাঁর ভাষার সঙ্গে মানুষের চিন্তা ও সামাজিক বাস্তবতার সম্পর্ক নিয়ে এই চিন্তা ছিল, তিনি বিনয় কোঙারের মন্তব্য শুনলে যে কফিনে একবার পাশ ফিরে শুতেন, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে একটা বিষয় খুব ভাল লাগছে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আমল থেকে যে আমরা-ওরার সংস্কৃতি চালু হয়েছে তা তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তাপস পাল রুখে দিয়েছেন। ভাষা সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে তিনি আমরা-ওরার বিচারে যাননি। তিনি বিনয় কোঙার, অনিল বসু, আনিসুর রহমানদের মহাজন মেনে তাদের পথ অনুসরণ করেছেন।
ধন্যি দাদার কীর্তি!