পূর্ববর্তী রেকর্ড অনুযায়ী, গত দু’বছরেও বছরের শুরুতে তাপমাত্রার পারদপতন এই মাত্রায় দেখা যায়নি। ছবি: পিটিআই।
শৈত্যপ্রবাহে কেঁপে উঠেছে দিল্লি, পঞ্জাব-সহ উত্তর পশ্চিম ভারতের একাংশ। সোমবার সকালে উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্য কুয়াশার চাদরে সম্পূর্ণ ঢাকা পড়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, কুয়াশার প্রভাবে রাজ্যগুলির দৃশ্যমানতা অনেকটা কমে দাঁড়িয়েছে শূন্যে।
রবিবার দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পূর্ববর্তী রেকর্ড অনুযায়ী, গত দু’বছরেও বছরের শুরুতে তাপমাত্রার পারদপতন এই মাত্রায় দেখা যায়নি। শুধু দিল্লি এবং পঞ্জাব নয়, মধ্য এবং পূর্ব ভারতের একাংশ শীতের কাঁপুনিতে জর্জরিত। ঘন কুয়াশার ফলে দৃশ্যমানতা কমে গিয়েছে অনেকটাই। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারের কাছাকাছি ছিল বলে হাওয়া অফিস সূত্রের খবর।
কুয়াশা বেশি থাকার কারণে বিঘ্ন ঘটেছে যান চলাচলে। সোমবার সকালে রাজধানীর দৃশ্যমানতা কমে আসে ২০০ মিটারে। পথ দুর্ঘটনা এড়াতে সড়কপথে ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। দিল্লির বিমানবন্দরে কুয়াশা বেশি থাকায় সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। ৪০টি বিমানের চলাচলের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিলেও নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে সামান্য দেরিতে গন্তব্যস্থলে পৌঁছেছে বিমানগুলি। তবে কম দৃশ্যমানতার জন্য বিঘ্ন হয়েছে ট্রেন চলাচল। রেল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৯টি ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে অনেকটা দেরি করে ঢুকেছে। সর্বোচ্চ দু’ঘণ্টা দেরি করে ট্রেনগুলি প্ল্যাটফর্মে ঢুকেছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার রাতে রাজধানীর কিছু অংশ এবং পঞ্জাবের ভাটিন্ডার দৃশ্যমানতা কমে শূন্যে পৌঁছয়। উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থানের একাংশও কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে। আবহবিদদের অনুমান, শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে রাজধানী-সহ রাজস্থান, হরিয়ানা এবং চণ্ডীগড়েও। আগামী কয়েক দিন এই পরিস্থিতি চলবে ওই রাজ্যগুলিতে। তবে পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে হাড়জমানো ঠান্ডার কামড় থেকে, এমনটাই জানিয়েছে মৌসম ভবন।