পুলিশের সামনেই মঞ্চে জিগ্নেশ

বাধা পেয়েছিলেন প্রথমে। তাই মঞ্চে উঠে বলেছেন, ‘‘যদি এক জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মুখ বন্ধ করার চেষ্টা হয় তবে বুঝতে হবে সেটা গুজরাত মডেল।’’ কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশের সামনেই রাজধানীতে সভা করলেন জিগ্নেশ মেবাণী। নিজের বক্তব্যে আক্রমণ শানালেন নরেন্দ্র মোদী সরকারকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:২৪
Share:

সহাস্য: নয়াদিল্লির সভায় খোশমেজাজে জিগ্নেশ মেবাণী। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই।

বাধা পেয়েছিলেন প্রথমে। তাই মঞ্চে উঠে বলেছেন, ‘‘যদি এক জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মুখ বন্ধ করার চেষ্টা হয় তবে বুঝতে হবে সেটা গুজরাত মডেল।’’ কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশের সামনেই রাজধানীতে সভা করলেন জিগ্নেশ মেবাণী। নিজের বক্তব্যে আক্রমণ শানালেন নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। পাশে তখন উপস্থিত জেএনইউ-র বিতর্কিত ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদেরা।

Advertisement

মুম্বইয়ে উমর খালিদ ও জিগ্নেশের সভার মতো দিল্লিতে এই সভারও অনুমতি দেয়নি পুলিশ। কিন্তু তাতে দিল্লির সভা আটকায়নি। সভাস্থল সংসদ মার্গ থানা থেকে এক হাতের মধ্যে। চর্তুদিকে পুলিশি ব্যারিকেড। কোন ফস্কা গেরোয় জিগ্নেশরা এ দিনের সভা করে গেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্রের এক সূত্র বলছে,
জিগ্নেশদের প্রধানমন্ত্রীর দফতর অভিযান আগেই বাতিল করা হয়েছিল।

এর পর সভা একেবারে বাতিল করলে দেশে ভুল বার্তা যেত। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াতে পারতেন জেএনইউ-এর পড়ুয়ারা। যার ফায়দা নিত বিরোধী শিবির। তাই মুখে নিষেধাজ্ঞার কথা বলে, বাস্তবে দেখেও না দেখার অবস্থান নিয়েছিল প্রশাসন।

Advertisement

নিরাপত্তা ও পরিবেশ, এই দুই যুক্তিতে ওই সভার অনুমতি দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। যদিও উদ্যোক্তারা পাল্টা দাবি করে যাচ্ছিলেন এ দিনের সভা যথা সময়েই হবে। এই দোটানার মধ্যে আজ সকালে জিগ্নেশ ও তাঁর সঙ্গীরা পূর্ব দিল্লির অম্বেডকর পার্কে গেলে পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে ধীরে ধীরে। বেলা বাড়তেই সংসদ মার্গগামী সমস্ত রাস্তায় পুলিশ ব্যারিকেড করা শুরু করে দেয়। শুরুর দিকে জেএনইউ, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে পড়ুয়ারা সংসদ মার্গে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ।

সূত্রের দাবি, সকালের দিকে এক বার সংসদ মার্গে যাওয়ার চেষ্টা করে আটকে যান জিগ্নেশও। এর পর কনট প্লেসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানে সভা করায় বাধা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কিন্তু দুপুর গড়াতেই ঢিলে হতে থাকে পুলিশের পাহারা। যার সুযোগ নিয়ে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে ভিড়। একে একে সভাস্থলে পৌঁছন কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদ, প্রশান্ত ভূষণেরা। চলে আসেন জিগ্নেশও।

মঞ্চে উঠেই সরাসরি বিজেপি তথা মোদী সরকারকে আক্রমণ করেন জিগ্নেশ। সভার অনুমতি না দেওয়া নিয়ে কটাক্ষের পাশাপাশি বলেন, ‘‘আমরা লাভ জেহাদে নয়, ভালবাসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘দুর্নীতি, দারিদ্র, বেকারত্বের সমস্যাগুলি থেকে নজর ঘুরিয়ে দিতে ঘর ওয়াপসি, লাভ জেহাদ বা গো-হত্যার মতো বিষয়গুলিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। আমাদের লড়াই এ সবের বিরুদ্ধে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement