দিল্লির সাকেত মেট্রো স্টেশন।
ঝপ করে মেট্রোর রেললাইনে নেমে ছুটতে শুরু করলেন এক ব্যক্তি! শুক্রবার রাত আটটা পনেরো নাগাদ এই ঘটনায় আতঙ্ক ছ়়ড়ায় দিল্লির সাকেত মেট্রো স্টেশনে। পরে জানা যায় তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন।
অভিযোগ, মেট্রোয় মহিলা কামরায় উঠেছিলেন বছর পঁচিশের ওই যুবক। সাকেত নগর মেট্রো স্টেশনে তাঁকে আটক করে কর্তব্যরত সিআইএসএফ-এর জওয়ানেরা। স্টেশনের কন্ট্রোল রুমে এনে ২৫০ টাকা জরিমানা করা হয় তাঁকে। এর পরেই ওই ব্যক্তি পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশকর্মীরা তাঁর শার্ট ধরে আটকানোর চেষ্টা করলে তা খুলে দিয়ে দৌড়ে মেট্রোর লাইনে নেমে পড়েন তিনি। ছুট লাগান সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মেট্রো পরিষেবা কিছু ক্ষণের জন্য বন্ধ রাখতে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ। খবর পাঠানো হয় আশপাশের স্টেশনগুলিতে। প্রায় কিলোমিটার খানেক দূরে, মালব্য নগর স্টেশনে সুড়ঙ্গ থেকে ওই ব্যক্তিকে বেরোতে দেখে যায়। তখনই তাঁকে আটক করেন পুলিশকর্মীরা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম অমিত কুমার। মালব্য নগরেই তাঁর বাড়ি।
সেই রাতেই অমিতকে নিয়ে একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যাতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর মুখ ও শরীরের উপরের অংশ ভেসে যাচ্ছে রক্তে। চুরির দায়ে দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশনের কর্মীরা এবং যাত্রীরা মিলে বেধড়ক মেরে তাঁর এই হাল করেছে বলে দাবি করা হয় ওই ভিডিয়ো পোস্টে। তবে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এক আধিকারিক জানান, ‘‘ওই ব্যক্তির মানসিক অবস্থা ঠিক নেই। তাঁর চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। অন্ধকার সুড়ঙ্গ দিয়ে যাওয়ার সময়েই পড়ে গিয়ে তাঁর চোট লাগে।’’
ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানান পুলিশের ডেপুটি কমিশনর দীপক গৌরী।