তিন বছর পরে দেখা হয়েছিল বন্ধুর সঙ্গে। আনন্দ নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি যুবক। ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরলেন বন্ধুকে। তারপর একটা ‘টাইট হাগ’। আর সেই আনন্দের আতিশয্যে পাঁজরের হাড়ই ভেঙে বন্ধু এখন হাসপাতালের বিছানায়।
দু’জনেই পেশায় চিকিৎসক। অরঙ্গাবাদের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাশ করেন মধুকর গায়কোয়াড় ও অমিত বদয়ে। পড়াশোনা শেষ করে জে জে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে যোগ দেন মধুকর। আর অমিত আহমদনগরে প্রাইভেট প্র্যাকটিস শুরু করেন। সেই থেকে দেখা সাক্ষাৎ বন্ধ হয়ে যায় দুই অভিন্ন হৃদয় বন্ধুর।
সম্প্রতি সেই সুযোগ মেলে। বর্তমানে মুম্বইয়ের ফোর্ট’স সেন্ট জর্জ’স হাসপাতালে কাজ করেন মধুকর। হঠাৎই হাসপাতালে মধুকরের কেবিনে উপস্থিত হন অমিত। তিন বছর পর পুরনো বন্ধুকে দেখে খুশি হন মধুকরও। কিন্তু সেই খুশি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
আরও পড়ুন: মেয়েদের গায়ের চামড়া তুলে রমরমিয়ে চলছে পুরুষাঙ্গ বড় করার ব্যবসা
মধুকর জানান, ‘‘অমিতকে আমার চেম্বারে দেখে ভীষণ খুশি হয়েছিলাম। আমাকে দেখামাত্রই ও ছুটে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে। তখনও বুঝতে পারিনি কী হতে চলেছে। কিন্তু ও এত জোরে জাপ্টে ধরে যে আমার পাঁজরের হাড় ভেঙে যায়।’’
সৌভাগ্যক্রমে সেই সময় হাসপাতালেই ছিলেন মধুকর। ফলে খুব শীঘ্রই তাঁর চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয়। এক্স-রে করে দেখা যায়, মধুকরের পাঁজরের প্রথম, দ্বিতীয় ও সপ্তম হাড়টি ভেঙে গিয়েছে। তবে চিকিৎসক জানান, বিশ্রাম নিলে ধীরে ধীরে সেরে উঠবেন তিনি।
আর অমিত? বন্ধুর এমন হাল করে ভেঙে পড়েছেন তিনি। আহমেদনগরের ফেরার পথে দুঃখ ঝরে পড়ল তাঁর গলায়, ‘‘অনেক দিন পর দেখা হওয়ায় খুব খুশি ছিলাম। কিন্তু এ ভাবে ব্যাপারটা শেষ হবে ভাবিনি। খুব খারাপ লাগছে।’’