চুলের মুঠি ধরে মদ্যপকে পুলিশে দিলেন তরুণী

ভিড়ে ঠাসা রেল স্টেশন। কোথা থেকে টলতে টলতে এসে এক তরুণীর গা ঘেঁষে দাঁড়াল এক মদ্যপ যুবক। বিরক্ত ওই তরুণী এড়িয়ে যাওয়া চেষ্টা করলে আচমকাই গায়ে হাত দেয় সে। প্রথমে কিছুটা হকচকিয়ে গেলেও পরে হাতের ব্যাগ দিয়েই হেনস্থাকারীকে বেধড়ক পেটাতে থাকে প্রদন্যা মান্ধারে নামের ওই ছাত্রী। স্টেশনে তখন নীরব দর্শকের ভূমিকায় জনা পঞ্চাশেক মহিলা-পুরুষ। পাশ দিয়ে যেতে যেতে কৌতূহলে দাঁড়িয়েও পড়েছেন কয়েক জন। কিন্তু সাহায্যের জন্য পা বাড়াননি কেউই। মেয়েটিও ছাড়ার পাত্রী নন। চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে হেনস্থাকারীকে তুলে দিলেন পুলিশের হাতে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৫ ০৩:৫০
Share:

ভিড়ে ঠাসা রেল স্টেশন। কোথা থেকে টলতে টলতে এসে এক তরুণীর গা ঘেঁষে দাঁড়াল এক মদ্যপ যুবক। বিরক্ত ওই তরুণী এড়িয়ে যাওয়া চেষ্টা করলে আচমকাই গায়ে হাত দেয় সে। প্রথমে কিছুটা হকচকিয়ে গেলেও পরে হাতের ব্যাগ দিয়েই হেনস্থাকারীকে বেধড়ক পেটাতে থাকে প্রদন্যা মান্ধারে নামের ওই ছাত্রী। স্টেশনে তখন নীরব দর্শকের ভূমিকায় জনা পঞ্চাশেক মহিলা-পুরুষ। পাশ দিয়ে যেতে যেতে কৌতূহলে দাঁড়িয়েও পড়েছেন কয়েক জন। কিন্তু সাহায্যের জন্য পা বাড়াননি কেউই। মেয়েটিও ছাড়ার পাত্রী নন। চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে হেনস্থাকারীকে তুলে দিলেন পুলিশের হাতে।

Advertisement

গত বুধবার দুপুর ২টো নাগাদ কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন মাস মিডিয়ার তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী প্রদন্যা মান্ধারে। মুম্বইয়ের ভিলে পার্লে থেকে বোরিভলিতে ফিরতে লোকাল ট্রেনে চড়েছিলেন। কান্দিভলি স্টেশনে নেমে দাঁড়িয়ে ছিলেন অন্য একটি ট্রেন ধরার জন্য। হঠাৎ ওই যুবক এগিয়ে আসে তাঁর দিকে। মান্ধারে জানান, ওই যুবক কাছে ঘেঁষতেই মদের গন্ধ পান। তরুণী এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে ওই যুবক তাঁকে জড়িয়ে ধরতে যায়। “প্রাথমিক ভয়টা কাটিয়ে উঠতেই ব্যাগ দিয়ে মারতে থাকি ছেলেটাকে। ছেলেটাও মারার চেষ্টা করে। কিন্তু সে এতটাই মদ খেয়ে ছিল যে, আমার সঙ্গে পেরে ওঠেনি।” বললেন মান্ধারে।

স্টেশন চত্বরে তখন গিজগিজ করছে লোক। গোটা ঘটনাটাই চোখে পড়ে সবার। যেতে যেতে দাঁড়িয়েও পরেন অনেকে। তবে সাহায্য করা তো দূরস্থান, কী হয়েছে সেটা জানতে পর্যন্ত চাননি তাঁরা। মান্ধারের কথায়, “ছেলেটা এতই নোংরা ছিল যে হাত ধরতেও গা ঘিনঘিন করে ওঠে। আমি ওর চুলের মুঠিটা চেপে ধরি। এর পর হিড়হিড় করে টানতে টানতে এগিয়ে যাই রেল পুলিশের চৌকির দিকে।” যদিও সেটা সহজ কাজ ছিল না। তত ক্ষণে ওই যুবকের নেশার ঘোর কেটেছে। কয়েকবার মুঠি ছাড়িয়ে পালানোরও চেষ্টা করে সে। একটা সময় চুল ছেড়ে দেওয়ার জন্য কাকুতি মিনতি করতে থাকে। যদিও সে সব কথায় কান দেননি মান্ধারে। রেল পুলিশের হাতে হেনস্থাকারীকে তুলে দিয়ে, তবেই চুলের মুঠি ছাড়েন তিনি।

Advertisement

রেল পুলিশের এক কর্তা বলেছেন, “অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে তোলা হয়েছে তাকে।” কী বলছেন মান্ধারে? “এই পরিস্থিতিতে পড়লে প্রত্যেক মহিলারই ঘুরে দাঁড়ানো উচিত। পুলিশকে বলেছি ওকে উচিৎ শিক্ষা দিতে। যাতে ভবিষ্যতে আর এ কাজ করার সাহস না দেখায়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement