প্রজ্ঞা ঠাকুর।
আগেও বেশ কয়েক বার বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। এ বার স্পাইস জেটের উড়ানের আসন বদল নিয়ে বিমানকর্মী এবং যাত্রীদের সঙ্গে কথা বাদানুবাদে জড়ালেন ভোপালের বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর। শনিবারের সেই কথা কাটাকাটির ঘটনার ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে সাধ্বী প্রজ্ঞার উদ্দেশে যাত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘জনপ্রতিনিধি হয়ে এমন আচরণের জন্য আপনার লজ্জা হওয়া উচিত।’’
শনিবার স্পাইস জেটের বিমানে দিল্লি থেকে ভোপাল যাচ্ছিলেন প্রজ্ঞা। তাঁর আসনটি ছিল আপৎকালীন দরজার সামনে। প্রজ্ঞা বিমানবন্দরে আসেন ব্যক্তিগত হুইলচেয়ারে। ফলে বিমানকর্মীরা তাঁকে আসন বদলের অনুরোধ করেন। বিমানের কর্মীরা জানান, কোনও অসুস্থ যাত্রীকে আপৎকালীন দরজার সামনের আসনে বসতে দেওয়া হয় না। স্পাইস জেটের অভিযোগ, টিকিট বুকিংয়ের সময় শারীরিক অবস্থার কথা গোপন করেছিলেন ওই বিজেপি সাংসদ।
প্রজ্ঞা আসন পরিবর্তনে রাজি না-হওয়ায় বিমানকর্মীদের সঙ্গে বাদানুবাদ শুরু হয়। এর পরে সহযাত্রীদের সঙ্গেও বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিজেপি সাংসদকে এক যাত্রী বলেন, ‘‘আপনি এক জন জনপ্রতিনিধি, এই ভাবে আমাদের অসুবিধায় ফেলা আপনার কাজ নয়।’’ প্রজ্ঞা পাল্টা বলেন, ‘‘ফার্স্ট ক্লাস আমার অধিকার।’’ সেই সহযাত্রী বলেন, ‘‘আপনার জন্য ৫০ জন মানুষকে এই ভাবে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে, আপনার লজ্জা করে না।’’ এর পরেই প্রজ্ঞা ওই যাত্রীকে সংযত হতে বলেন। এক মহিলা যাত্রী বিমানকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আমাদের সময়ের কি কোনও মূল্য নেই? আপনারা কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না কেন? আপনাদের পেশাদারিত্ব বলে কি কিছু নেই।’’
নাগার্জুন দ্বারকানাথ নামে এক ইউজারের ভেরিফায়েড হ্যান্ডল থেকে বেশ কয়েকটি টুইট করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, বিমানকর্মীদের অনুরোধ মেনে আসন বদল করেন প্রজ্ঞা।
তবে এই সব বাদানুবাদের কারণে বিমান ৪৫ মিনিট দেরিতে ছাড়ে। পরে অবশ্য প্রজ্ঞা অভিযোগ করেন, স্পাইস জেটের বিমানকর্মীরা যাত্রীদের সঙ্গে ঠিক ব্যবহার করেননি। ভোপাল বিমানবন্দরে অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। গত কাল স্পাইস জেট কর্তৃপক্ষ বিবৃতিতে জানান, বিজেপি সাংসদ কী ভাবে অসহযোগিতা করেছেন। এর আগে নাথুরাম গডসে ‘দেশপ্রেমিক’ এবং হেমন্ত কারকারের মৃত্যু হয়েছে তাঁর অভিশাপেই—এমন মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন প্রজ্ঞা।