ট্রেনের টিকিট কেটে এ বার বিমানে দিল্লি যাওয়া যাবে? এমনই ব্যবস্থার কথা ভাবছে রেল। —প্রতীকী ছবি।
সব গোছগাছ হয়ে গিয়েছে। কয়েক ঘণ্টা পরেই রাজধানীতে চেপে দিল্লি রওনা দেওয়ার পালা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে জানতে পারলেন, টিকিট কনফার্ম হয়নি। চার্ট তৈরি। আর কিছু করার নেই! ভেস্তে গেল যাওয়া।
এই সমস্যার সমাধান করার কথা একটা সময় ভেবেছিলেন অশ্বিনী লোহানি। তিনি তখন এয়ার ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান। তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, রাজধানীতে টিকিট কমফার্ম না হলে ওই যাত্রী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে চেপে দিল্লি যেতে পারেন। কিন্তু রেল সেই সময়ে তাতে সায় দেয়নি। লোহানি এখন রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, এয়ার ইন্ডিয়া যদি ফের ওই প্রস্তাব নিয়ে আসে, রেল তা মেনে নেবে। কিন্তু, এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে এমন কোনও প্রস্তাব এখনও পর্যন্ত আসেনি।
আরও পড়ুন: সাইবার যুদ্ধে এ বার মহিলাদের নিয়োগ করতে চায় সেনা
পুরনো ওই প্রস্তাবে এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছিল, রাজধানীর এসি-১ এবং এসি-২তে টিকিট যদি কনফার্ম না হয় তা হলে যাত্রীদের দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করবে তারা। সে ক্ষেত্রে আলাদা করে বিমানের টিকিটও কাটতে হবে না। রাজধানীর এসি-২-এর ভাড়া বিমান ভাড়ার প্রায় সমান। ওই টিকিটেই এয়ারইন্ডিয়ার বিমানে তাঁরা যাত্রা করতে পারবেন। বাকি ক্ষেত্রে এয়ার ইন্ডিয়া এবং রাজধানীর ভাড়ার হেরফেরটুকু শুধু মেটাতে হবে যাত্রীদের।
সংবাদ মাধ্যমকে লোহানি জানিয়েছেন, রেলে টিকিটের চাহিদা সব সময়েই বেশি। আর রাজধানীর মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনে তো তা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। ফলে, রাজধানীর টিকিট কনফার্ম হয় না বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই। শেষ মুহূর্তে টিকিট কনফার্ম না হলে সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। অন্য দিকে, অনেক সময়েই বিমানের আসন ফাঁকা থাকে। এই দুটো দিক বিবেচনা করেই প্রস্তাবটা রেখেছিলেন তিনি। এয়ার ইন্ডিয়ার বর্তমান কর্তৃপক্ষ যদি ফের সেই প্রস্তাব আনে রেলের কাছে, তবে তা মেনে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন লোহানি।
এয়ার ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান এই মুহূর্তে রাজীব বনসাল। লোহানির পর গত অগস্টের শেষে তাঁকে তিন মাসের জন্য ওই পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘এমন প্রস্তাবের কথা প্রথম শুনলাম। রেল আর বিমানের ভাড়ার মধ্যে অনেকটা পার্থক্য রয়েছে। এখনই এই বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’’