নরেন্দ্র মোদী ও যোগী আদিত্যনাথ টুইটার থেকে নেওয়া
আগামী বছর উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই যোগী আদিত্যনাথ সরকার নানা বিষয়ে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন যোগী। মোদীর বাসভবনে ১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠকটি চলে। বৈঠকে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, উত্তরপ্রদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দল নিয়েই আলোচনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর পর বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন আদিত্যনাথ। বৃহস্পতিবার থেকেই তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক করছেন। বৃহস্পতিবার তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে প্রায় ৯০ মিনিট দীর্ঘ বৈঠক করেন। উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের আর এক বছরও বাকি নেই। সে কথা মাথায় রেখে দলের মধ্যে মতপার্থক্য মিটিয়ে ফেলতে বিজেপি উদ্যোগী হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আরও খবর, আগামী নির্বাচনেও যোগী আদিত্যনাথের উপরেই দল ভরসা রাখতে চলেছে। তবে অন্য কয়েকটি জায়গায় পরিবর্তন অবশ্যই করা হবে।
যোগী সরকারের বিরুদ্ধে কোভিড নিয়ে নানা বিতর্ক উঠেছে। বিরোধীরা তো বটেই, রাজ্য বিজেপি-র অন্দরেও যোগীর ভূমিকা নিয়ে একটা অসন্তোষ দানা বেঁধেছে বলে সূত্রের খবর। তড়িঘড়ি সেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দিল্লি থেকে দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে পাঠানো হয়। যোগী এবং দলের বিধায়ক, মন্ত্রীদের সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে বৈঠক করেন তাঁরা। সাংগঠনিক স্তরেও রিপোর্ট নেওয়া হয়। যদিও যোগী সরকারকে ক্লিনচিটই দিয়েছেন ওই দুই কেন্দ্রীয় নেতা।
বুধবার উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে নয়া মোড় আসে। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেন জিতিন প্রসাদ। সূত্রের খবর, নির্বাচনের আগে জিতিন প্রসাদকে বড় কোনও দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। বিশেষ করে রাজ্যের ব্রাহ্মণ ভোটকে কাজে লাগাতেই জিতিনকে ব্যবহার করা হতে পারে বলে মনে করছেন উত্তরপ্রদেশ বিজেপি-র একাংশ। উত্তরপ্রদেশে ব্রাহ্মণ ভোটের বড় মুখ জিতিন। তাঁকে এ বার ‘তুরুপের তাস’ হিসেবেই ব্যবহার করতে চাইছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এছাড়াও মোদী ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন আমলা এ কে শর্মাকেও উত্তরপ্রদেশ সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিত দেখা যেতে পারে বলে সূত্রের খবর।