বিজেপির অভিযোগ, রাজ্য প্রশাসন প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে যোগীর হেলিকপ্টার নামার অনুমতি দেয়নি। —ফাইল চিত্র।
যোগী রাজ্যে গরুদের সুদিন! লোকসভা ভোটের মুখে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বাজেটে গরুদের জন্য ৪৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হল। আজ ৪.৭৯ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দের রাজ্য বাজেট পেশ করে অর্থমন্ত্রী রাজেশ আগরওয়াল জানান, গ্রামাঞ্চলে গোশালা তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। শহরাঞ্চলে বরাদ্দ হয়েছে ২০০ কোটি টাকা।
২০১৭-য় ক্ষমতায় আসার পর এটা যোগী সরকারের তৃতীয় বাজেট। যুযুধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মায়াবতী ও অখিলেশ জোট করায় লোকসভা ভোটের মুখে এই রাজ্যে চাপে বিজেপি। এ দিনের বাজেটে সরকারের জনমুখী ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টাই হয়েছে। তারই মধ্যে রাজ্যে বিজেপি সরকারের প্রধান লক্ষ্য যে গোরক্ষা ও উন্নয়ন, তা ফের স্পষ্ট করলেন যোগী। রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর কথায়, ‘‘গোরক্ষায় আদিত্যনাথের তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে অখিলেশ যাদব সরকার। অথচ তারা ২০১৬-১৭ বাজেটে গরুর জন্য বরাদ্দ করেছিল মাত্র ৫ কোটি টাকা।’’
যোগী আদিত্যনাথের বিজেপি সরকার উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আসার পরে রাজ্যে গো-তাণ্ডব বেড়েছে ৬৯%। সমীক্ষা বলছে, ২০১৮-য় গোহত্যার গুজবে ২১ হামলার ঘটনা ঘটে উত্তরপ্রদেশে। যার মধ্যে ৪ ক্ষেত্রে প্রাণহানি হয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। গো-হামলার সর্বশেষ ঘটনাটি বুলন্দশহরে। গোরক্ষকদের হাতে খুন হন পুলিশ ইন্সপেক্টর সুবোধ কুমার সিংহ। ঘটনায় নাম জড়ায় বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের। বুলন্দশহরের ঘটনার দু’দিনের মাথায় গোহত্যাকারী ও গোরু চালানকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেন যোগী। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্যে একের পর এক গো-হিংসার পরেও গোরক্ষকদের শাস্তি দেওয়ার বদলে উৎসাহিতই করছেন যোগী।
যোগী সরকার আগেও ঘোষণা করেছে, বিয়ার ও ভারতে তৈরি বিদেশি মদ বিক্রি করে রাজ্যের যে শুল্ক আদায় হয়, তা গোশালা রক্ষার কাজে যাবে। দেশে গবাদি পশুর সুরক্ষা ও সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ক’দিন আগেই বাজেটে রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ তৈরির প্রস্তাব দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।