অসমে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ছবি পিটিআই।
অসমে এসে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আজ ষোড়শ শতকের বৈষ্ণব ধর্মগুরু শ্রীমন্ত শঙ্করদেবকে ‘ভারতে সাংস্কৃতিক রাষ্ট্রবাদের প্রবর্তক’ ও ‘অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে দেশের দৃষ্টি আকর্ষণকারী’ হিসেবে বর্ণনা করে বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিলেন। কার্যত ছ’শো বছর আগের ভারতবর্ষে অনুপ্রবেশের ‘ভূত’ আবিষ্কার করলেন তিনি! যোগী বলেন, “শঙ্করদেব দূরদর্শী ছিলেন, তাই তিনি ভারতে সাংস্কৃতিক রাষ্ট্রবাদের প্রবর্তন করেছিলেন। অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে তিনিই দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। যে-হেতু কংগ্রেস ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির জন্য অনুপ্রবেশকারীদের তোষণ করে, অনুপ্রবেশের জন্য কুখ্যাত ইউডিএফের সঙ্গে জোট গড়ে, তাই তারা শঙ্করদেবকে মান্যতা দেয়নি।” সেই সঙ্গে যোগীর দাবি, বিজেপি যেমন শঙ্করদেবের জন্মস্থানকে অনুপ্রবেশকারীদের দখলমুক্ত করেছে, তেমনই গোটা রাজ্য অনুপ্রবেশমুক্ত করবে।
কংগ্রেস মুখপাত্র ববিতা শর্মার দাবি, নরেন্দ্র মোদী হোক বা আদিত্যনাথ—বিজেপি নেতাদের মন্তব্য থেকেই বোঝা যায় তাঁরা অসম সম্পর্কে কতটা অজ্ঞ। ববিতার কথায়, “শঙ্করদেব রাষ্ট্রবাদ নয়, ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ প্রচার করেছিলেন। কংগ্রেস ভাবছে, পরের বার অসমে প্রচার চালানোর আগে মোদীজি ও যোগীজিকে দুটি ইতিহাস বই উপহার দেওয়া হবে।”
বাঙালি ভোটারের এলাকায় ভারতীয় জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নাম করে যোগী বলেন, “১৯৫২ সালে কংগ্রেস কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বলবত করার সময়েই শ্যামাপ্রসাদ বলেছিলেন, এক দেশে দুই নীতি চলবে না। এত বছর পরে দুই মহাপুরুষ, মোদী ও শাহ সেই কাজ করে দেখালেন।”