শীর্ষাসন: রবিবার আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে লাদাখে। পিটিআই
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যোগব্যায়ামের গুরুত্বকে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ দাবি করেছেন, অতিমারির সময়ে দুনিয়ায় মানুষ যোগের গুরুত্ব এতটাই উপলব্ধি করছেন যা অতীতে কখনও হয়নি। একই সঙ্গে তাঁর যুক্তি, যোগ মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে না বরং কাছাকাছি নিয়ে আসে, একজোট করে তোলে। সে কারণেই যোগাভ্যাস জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ-বিশ্বাস এমনকি দেশগুলির রাজনৈতিক সীমানাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে।
করোনা আবহে আজ আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হয় ডিজিটাল মাধ্যমে। একটি ভিডিয়ো বার্তায় মোদী অতিমারির সময়ে যোগের বিশেষ গুরুত্বকে তুলে ধরেন। তাঁর দাবি, প্রাচীন ভারতে শারীরচর্চার এই অভ্যাস এখন করোনা আটকাতে কাজে আসছে। করোনাভাইরাস শ্বাসযন্ত্রকে আক্রমণ করে, তাই প্রাণায়াম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মোদী বলেন, ‘‘প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী হলে রোগের মোকাবিলা করা যায়। এমন অনেক আসন রয়েছে, যেগুলি শরীরের ক্ষমতা বাড়ায়, পরিপাক শক্তিকেও বাড়িয়ে তোলে। যোগাভ্যাস শ্বাসযন্ত্রের শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সে কারণেই গোটা বিশ্বের করোনা রোগীরা যোগে উপকৃত হচ্ছেন।’’ যোগে মানসিক শক্তিও বাড়ে, বলেছেন মোদী। ২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভা ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণা করার পরে এই প্রথম বিশ্বজুড়ে ডিজিটাল মাধ্যমে দিনটি পালিত হল।
যোগগুরু রামদেবের পাশাপাশি শিল্পজগতের মানুষেরাও আজ যোগের গুরুত্বের কথা বলেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন বণিকসভা ফিকি-র প্রেসিডেন্ট সঙ্গীতা রেড্ডি, অ্যাসোচ্যামের মহাসচিব দীপক সুদ, বায়োকন চেয়ারপার্সন কিরণ মজুমদার শ’, মহীন্দ্রা ম্যানুলাইফের এমডি তথা সিইও আশুতোষ বিষ্ণোই প্রমুখ। যোগাভ্যাস করেছেন ওএনজিসি চেয়ারম্যান শশী শঙ্কর, আইওসি চেয়ারম্যান সঞ্জীব সিংহ।