PM Narendra Modi

মোদীর শুভেচ্ছা এখনও পৌঁছয়নি জিনপিংয়ের কাছে

ভারত এবং চিন তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সম্পর্ক নিয়ে এমনই রসসিক্ত মন্তব্য চলছে রাজধানীর কূটনৈতিক করিডরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২২ ০৯:২১
Share:

নরেন্দ্র মোদী এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ফাইল চিত্র।

‘পুরাতন প্রেম’ কি ঢাকা পড়ে গিয়েছে! কারণ বার বার কলসির কানা খেয়েও প্রেম ধরে রাখতে আর নারাজ সাউথ ব্লক।

Advertisement

ভারত এবং চিন তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সম্পর্ক নিয়ে এমনই রসসিক্ত মন্তব্য চলছে রাজধানীর কূটনৈতিক করিডরে। তৃতীয় বার চিনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা নির্বাচিত হওয়ার জন্য শি-কে এখনও অভিনন্দন জানাননি মোদী। কিন্তু এর আগের বার, অর্থাৎ ২০১৭ সালের অক্টোবরে এমন ছিল না সম্পর্ক। সে বার শি দ্বিতীয় দফায় পার্টির শীর্ষ পদে বসার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে অভিনন্দিত করেছিলেন মোদী। একই সঙ্গে ইংরেজি এবং মান্দারিনে তিনি লিখেছিলেন, ‘প্রেসিডেন্টজিকে অভিনন্দন চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার জন্য। ভারত-চিন সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছি।’

কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, সম্পর্ক এখন নরম সুরে মেরামতির ঊর্ধ্বে উঠে গিয়েছে। প্রায় আড়াই বছর হতে চলল, বহু চেষ্টা সত্ত্বেও পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্ররেখা বরাবর দাঁড়িয়ে থাকা চিনা সেনা ভারতের শর্ত মেনে ফিরে যায়নি। বহাল রয়েছে সংঘর্ষের পরিস্থিতি। কূটনৈতিক এবং সামরিক আলোচনা দফায় দফায় চলছে, কিন্তু চিন অনড়।

Advertisement

২০১৭ সালে ৭২ দিনের ডোকলাম সংঘর্ষের পরে নয়াদিল্লি প্রাণপণ চেষ্টা করেছিল সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে। পার্টির শীর্ষ পদে শি-র দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের পরে চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বার বৈঠক করেছিলেন মোদী। সূত্রের খবর, সেই সময়ে সরকারি শীর্ষ কর্তাদের কাছে নির্দেশও গিয়েছিল তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামার যে কোনও অনুষ্ঠান থেকে একটু দূরে থাকার জন্য, যাতে বেজিং ক্রুদ্ধ না হয়। এর পরে ২০১৮ সালে চিনের উহানে এবং ২০১৯ সালে তামিলনাড়ুর মমল্লপুরমে শি-র সঙ্গে দীর্ঘ ‘ঘরোয়া’ আলাপচারিতা করেন মোদী, যা হয়ে উঠেছিল কূটনৈতিক বৈঠকের এক নতুন মডেল। কিন্তু তাতে চিঁড়ে বিশেষ ভেজেনি। উনিশের শেষে মমল্লপুরম, আর কুড়ির প্রায় গোড়া থেকেই পূর্ব লাদাখে লাল ফৌজের আগ্রাসন শুরু, যা এখনও চলছে।

তবে ভারত এখনও সাড়া না দিলেও রাশিয়া এবং পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দ্রুত অভিনন্দন বার্তা পৌঁছেছে চিনের সর্বাধিনায়কের কাছে। দুই দেশই শি-র প্রতি তাদের আনুগত্য ঝালিয়ে নিয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ‘উষ্ণ অভিনন্দন জানাই। আমাদের মধ্যে কৌশলগত বোঝাপড়া আরও শক্তিশালী করতে এবং গঠনমূলক আলোচনা চালিয়ে যেতে চাই।’ অন্য দিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফের টুইট, ‘তৃতীয় বার দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার জন্য সারা পাকিস্তানের তরফ থেকে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে জানাই অভিনন্দন। চিনবাসীর প্রতি তাঁর অটুট কর্তব্যবোধ এবং নিরলস অভিভাবকত্বের এটি এক উজ্জ্বল পুরস্কার।’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement