নিখোঁজ সুখোই ৩০ যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ (চিহ্নিত)। ছবি: সেনা সূত্রে।
নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়ার প্রায় ৭২ ঘণ্টা পরে অরুণাচল প্রদেশের গভীর জঙ্গল থেকে উদ্ধার হল সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধ বিমান। তবে দুই পাইলট সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর। বায়ুসেনা সূত্রে শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “বিমানের সর্বশেষ অবস্থানের কাছেই ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। গভীর জঙ্গল এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে ঘটনাস্থলে যেতে বেগ পেতে হচ্ছে।” তবে দুই পাইলটের কেউ বেঁচে আছেন কিনা তা নিয়ে কোনও তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়নি বলে বায়ুসেনা সূত্রে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি কে, আজ বৈঠকে বিরোধীরা
গত ২৩ মে রুটিন প্রশিক্ষণের জন্য তেজপুর বিমানঘাঁটি থেকে সুখোই বিমানটি উড়েছিল। বিমানে ছিলেন এক জন স্কোয়াড্রন লিডার এবং এক জন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট। ওই দিন তেজপুর বিমানঘাঁটি থেকে সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ওড়ার কিছু ক্ষণ পরেই বিমানটির সঙ্গে রেডিও সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিমানটির শেষ অবস্থান দেখে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হয়, চিন সীমান্তের কাছে নিখোঁজ হয় বিমানটি। তার পরই গত দু’দিন ধরে জোর কদমে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। অসমের সোনিতপুর জেলার ডেপুটি কমিশনার মনোজ কুমার ডেকা বৃহস্পতিবারই এক সংবাদ সংস্থাকে বলেন, “বিমানটির অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। আমাদের যখন বিমানটির নিখোঁজ হওয়া সম্পর্কে জানানো হয়, প্রশাসনিক স্তরের সমস্ত নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে দিয়েছি। এমনকী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানগুলোকেও এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়।” ব্যাপক তল্লাশি অভিযানে নামে বায়ুসেনার চারটি দল, সেনার দুটো দল এবং অসম সরকারের দুটো বিশেষ দল। আকাশপথেও তল্লাশি চালানো হয়। তবে খারাপ আবহাওয়ার জন্য তল্লাশি অভিযানে বেশ বেগ পেতে হয় বলেই বায়ুসেনা সূত্রে জানানো হয়েছে।
অসম তো বটেই, অরুণাচল প্রদেশের পশ্চিম কামেং জেলাতেও ব্যাপক হারে তল্লাশি চালানো হয়। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার, তেজপুর থেকে ৬০ কিলোমিটার অরুণাচলের পশ্চিম কামেং জেলার দৈমারা থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম আশপাশে জঙ্গলের মধ্যে হেলিকপ্টার থেকে সুখোইয়ের ভগ্নাবশেষ দেখতে পাওয়া যায়। সেনা মুখপাত্র সম্বিৎ ঘোষ জানান, অত্যন্ত দুর্গম ওই অঞ্চলে পায়ে হেঁটে রওনা হয়েছে সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দল। ভগ্নাবশেষের কাছ পৌঁছালে তবেই দুর্ঘটনা ও চালকদের অবস্থা সম্পর্কে বিশদে জানা যাবে।