সুখ সূচকের তালিকায় ভারত কোথায়? — প্রতীকী ছবি।
গত বছর থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। সেই যুদ্ধ এখনও থামার নাম নেই। প্রতিদিন টিভি বা মোবাইলের পর্দায় চোখ রাখলে সবচেয়ে বেশি নজরে পড়ে সেই যুদ্ধেরই খবরাখবর। কিন্তু জানেন কি, যে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন, রাশিয়ার খবর আপনি পড়ছেন ভারতে বসে, সেই ভারত সুখের সূচকের নিরিখে পিছিয়ে আছে এই দুই দেশের চেয়ে!
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে বিশ্ব সুখ সূচক। মোট ১৩৭টি দেশের সুখের পরিমাপ করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ১৩৭টি দেশের জন্য ১২৬ নম্বরে রয়েছে ভারত। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন, রাশিয়া, আমাদের প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তানও পিছনে ফেলেছে ভারতকে। এই তালিকায় বিগত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে প্রথম স্থানটি ফিনল্যান্ডের জন্য নির্দিষ্ট থাকছে। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সূচক বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষের বাসস্থান ফিনল্যান্ডে। তার পর রয়েছে ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড। একে বারে নীচে রয়েছে আর এক যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ আফগানিস্তান। রয়েছে লেবাননও। এই সূচকে শ্রীলঙ্কা রয়েছে ১১২তম স্থানে, পাকিস্তান ১০৮, ইরাক ৯৮ এবং ইউক্রেন ৯২তম স্থানে রয়েছে।
বিশ্ব সুখ সূচকে কোন দেশ কোন স্থানে থাকবে তা নির্ধারণ হয় কতগুলি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। দেশগুলির আর্থিক বৃদ্ধির হার, দেশবাসীর গড় আয়ু, সামাজিক সহায়তা, কাজ করার স্বাধীনতা, দুর্নীতি ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত হিসেবনিকেশ করার পর প্রস্তুত হয় সুখের তালিকা। তার আগে সংখ্যাতত্ত্ব নিয়েও চলে জটিল সমীকরণ। ‘সুখ’-এর মাপকাঠি হিসেবে এই সমীক্ষায় এমন কিছু প্রশ্ন রাখা হয়, যা চরিত্রগত ভাবে বস্তুতান্ত্রিক এবং আধুনিক কল্যাণমুখী রাষ্ট্রব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত। কম জনসংখ্যা সম্পন্ন নর্ডিক দেশগুলির এই তালিকায় ফলাফল সে দিকেই ইঙ্গিত করে।
যদিও এই তালিকায় যে পদ্ধতিতে বিচার করা হয়, তার সঙ্গে একমত হতে পারেন না অনেকেই। তাঁদের সওয়াল, যে পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় তা গোটা বিশ্বের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। যে নিয়ম প্রয়োগ করে ফিনল্যান্ডের সুখ মাপা হচ্ছে, ভারতের মতো বিশাল এবং নিবিড় জনসংখ্যার দেশেও কি তা সম্ভব?