আটকে পড়া শ্রমিকেরা। ছবি: এক্স।
জল নেই, খাবার নেই, এমনকি নেই মোবাইল রিচার্জের পয়সাও। সুদূর ক্যামেরুন থেকে ভিডিয়োবার্তায় এমনটাই জনিয়েছেন মাসের পর মাস আটকে থাকা শ্রমিকেরা। দ্রুত ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন তাঁরা।
কপর্দকশূন্য হয়ে গত কয়েকমাস ধরে দেশে ফেরার পথ চেয়ে বসে রয়েছেন ২৭ শ্রমিক। আটকে থাকা শ্রমিকেরা সকলেই ঝাড়খণ্ডের। কারও বাড়ি হাজারিবাগ, তো কারও বোকারো কিংবা গিরিডি। কাজের আশায় একটি বেসরকারি সংস্থার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চলতি বছরের ৩১ মার্চ ক্যামেরুনে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, গত চার মাস ধরে তাঁদের মাইনে আটকে রেখেছে সংস্থা। ফলে বিদেশ বিভুঁইয়ে বিপাকে পড়েছেন শ্রমিকেরা।
নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা বিভাগের মন্ত্রী বেবি দেবী বিদেশ মন্ত্রককে ওই শ্রমিকদের ফেরা সুনিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করেছেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা সমাজকর্মী সিকন্দর আলিও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
অতীতেও ঝাড়খণ্ডের শ্রমিকদের সঙ্গে এমন ঘটেছে। গত বছরই সৌদি আরবে আটকে পড়েছিল ঝাড়খণ্ডের কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিকের একটি দল। এক জন ঠিকাদারের মধ্যস্থতায় আরবে গিয়েছিলেন ওই নির্মাণশ্রমিকেরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর বেতন পাননি তাঁরা। এর আগে ২০২২ সালেও মালিতে আটকে পড়া ঝাড়খণ্ডের একদল শ্রমিক দেশে ফেরানোর জন্য সমাজমাধ্যম মারফত সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছিল। শোনা গিয়েছে, সে বার নিয়োগকারীরা শ্রমিকদের বকেয়া না মিটিয়ে তাঁদের পাসপোর্ট নিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন।