কৌশিক কুমার। ছবি: সংগৃহীত
করোনায় মৃতদের সৎকার করে ‘অচ্ছুৎ’ তকমা পাচ্ছেন শ্মশানকর্মীরা। গুজরাতের একটি গ্রামে তাঁদের ‘একঘরে’ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। গত কয়েক মাসে নিজেদের বাড়ি ফেরা তো দূর, গ্রামেই ঢুকতে পারেননি বহু শ্মশানকর্মী। তাঁদের দাবি, গ্রাম থেকে খাবার জল ভরতে গেলেও তাঁদের বের করে দেওয়া হয়েছে গ্রাম থেকে। গুজরাতের ভায়রা গ্রামের ঘটনা।
ফলে বাধ্য হয়েই শ্মশানে থাকতে হচ্ছে শ্মশানকর্মীদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়ায় তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছিলেন প্রশাসনের কাছে। তবে তাতে কোনও লাভ হয়নি। ফলস্বরূপ ভায়রা গ্রামের শ্মশানকর্মীরা এখনও নিজেদের গ্রামে ঢুকতে পারেননি। করোনা পরিস্থিতিতে সৎকারের কাজে মাস দু’য়েক আগেই যোগ দিয়েছেন কৌশিক কুমার। এক সংবাদ সংস্থাকে কৌশিক বলেছেন, ‘‘এই কাজ করছি বলেই আমাদের গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি জলও ভরতে দেওয়া হচ্ছে না গ্রাম থেকে। নিজেদের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করতে পারছি না আমরা। বাধ্য হয়েই শ্মশানে থাকতে হচ্ছে।’’
গত কিছু দিন ধরেই গুজরাতে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা থাকছে সাড়ে ৫ হাজারের আশপাশে। বৃহস্পতিবারের হিসেব অনুযায়ী দৈনিক মৃত্যু সংখ্যা ৭১। সৎকারের সংখ্যা বাড়তে থাকায় প্রয়োজন সামাল দিতে শ্মশানে কাজ করতে আসছেন অনেকেই। তবে তাঁদের এ ভাবে ‘একঘরে’ করে রাখার ঘটনা কাম্য নয় বলে জানিয়েছেন শ্মশানকর্মীরা।