নিহত সইফুল। ছবি: পিটিআই।
আড়াই মাস আগে বাড়ি ছেড়েছিল ছেলে। মাঝে ফোনে বলেছিল, কাজ করতে যাবে সৌদি আরবে। কানপুরের বাসিন্দা সরতাজ এখন জানছেন, লখনউয়ে পুলিশের গুলিতে খুন হওয়া জঙ্গিই তাঁর ছেলে সইফুল। সে নাকি জেহাদি মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ। এমন ‘বিশ্বাসঘাতক’ ছেলের দেহ ফেরত নিতে রাজি নন সরতাজ। তিনি বলছেন, ‘‘ভারত আমার দেশ। ও তো দেশদ্রোহী। দেশের মাটিতে আমি অন্তত ওকে কবর দেব না!’’
বছর কুড়ির সইফুলকে নিয়ে কিছু দিন ধরেই বিব্রত ছিলেন সরতাজ। মাস আড়াই আগে মেরেই বসেন কয়েক ঘা। কাজকর্ম না করে অন্ন ধ্বংস করছে বলে গালিগালাজ করেন। তার পরেই ঘর ছাড়ে সইফুল। পরে বিদেশে কাজ করতে যাবে শুনে খুশি হন বাবা।
আরও পড়ুন: আইএস নাকি আইএস নয়? রইল ধোঁয়াশা
বাবার চোখে সইফুল মোটেই ‘শহিদ’ নয়, ‘বিশ্বাসঘাতক’। সরতাজ বলেছেন, ‘‘ওই বিশ্বাসঘাতক আমার ছেলে হতে পারে না।’’ সইফুলের দেহ তাই রয়েছে কানপুরের হাসপাতালে।