Consensual Sex

সঙ্গীর সঙ্গে মতের ফারাক হলে ধর্ষণবিরোধী আইনকে অনেক সময় হাতিয়ার করা হচ্ছে: উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট

গত ৫ জুলাই এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে হওয়া ধর্ষণের মামলা খারিজ করে দেয় উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট। এক মহিলা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৩০ জুন অভিযোগ দায়ের করেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

দেহরাদূন শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৬:৫৮
Share:

—প্রতীকী ছবি।

সঙ্গীর সঙ্গে মতপার্থক্য হলে ধর্ষণবিরোধী আইনকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছেন মেয়েরা। একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে এমন পর্যবেক্ষণের কথা জানাল উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট। সম্মতির ভিত্তিতে যৌনসম্পর্ক থাকলে এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি রক্ষিত না হলেও তাকে যে ধর্ষণ বলা যাবে না, এই কথা আগেই জানিয়েছিল দেশের একাধিক হাই কোর্ট। এমনকি সুপ্রিম কোর্টও জানিয়েছিল, দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সম্পর্ক বিয়ে অবধি না গড়ালে, তাঁদের মধ্যে সম্মতির ভিত্তিতে তৈরি হওয়া শারীরিক সম্পর্ককে ধর্ষণ বলা যাবে না। উত্তরাখণ্ড হাই কোর্টও প্রায় একই পর্যবেক্ষণের কথা জানাল।

Advertisement

গত ৫ জুলাই এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে হওয়া ধর্ষণের মামলা খারিজ করে দেয় উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট। এক মহিলা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৩০ জুন অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০৫ সাল থেকে তাঁদের দু’জনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক ছিল। অভিযোগকারিণীর দাবি মোতাবেক, অভিযুক্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে চাকরি পেয়ে তিনি বিয়ে করবেন। কিন্তু পরে অন্য এক মহিলাকে ওই ব্যক্তি বিবাহ করেন বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগকারিণীর বক্তব্য, তারপরেও তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল।

এই প্রসঙ্গেই উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, “পুরুষ সঙ্গী বিবাহিত জেনেই অভিযোগকারিণী স্বেচ্ছায় তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিলেন। সে ক্ষেত্রে সম্মতির বিষয়টি এখানে সর্বদাই ছিল।” এই প্রসঙ্গেই উত্তরাখণ্ড হাই কোর্টের বিচারপতি শরদকুমার শর্মার বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ নম্বর অনুচ্ছেদ (ধর্ষণবিরোধী আইন)-এর অপব্যবহার করছেন কেউ কেউ।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement