বিরক্ত স্ত্রীর আঘাতে মৃত্যু স্বামীর। ফাইল চিত্র।
মত্ত স্বামীর উপর তিতিবিরক্ত হয়ে তাঁকে খুন করলেন স্ত্রী। নেশায় চুর হয়ে থাকা ওই ব্যক্তিকে কাঠের মোটা লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করতেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরে তাঁর স্ত্রী ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে দেখানোর চেষ্টা করেও ধরা পড়ে যান। রবিবার তামিলনাড়ুর রাজাপালায়মের ওই ঘটনায় খুনের অভিযোগে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মৃত ব্যক্তির নাম সান্ধানা মারিয়াপ্পন। বয়স ৪৮। তাঁর স্ত্রী পন্ডিসেলভির বয়স ৩৯। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার পন্ডিসেলভি ৫০০ টাকা দিয়ে দোকানে পাঠিয়েছিলেন স্বামীকে। বলেছিলেন, ৫০০ গ্রাম পাঁঠার মাংস কিনে আনতে। মারিয়াপ্পন সেই টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বার হলেও মাংসের দোকানে যাননি। তার বদলে অর্ধেক টাকা খরচ করে মদ কিনে খান তিনি। পরে বাকি টাকায় মাংস কিনে বাড়ি ফেরেন। মদ্যপ অবস্থায় স্বামীকে বাড়ি ফিরতে দেখে গোটা বিষয়টি অনুধাবন করে নেন পন্ডিসেলভি। প্রচণ্ড রেগে গিয়ে তিনি একটি কাঠের তক্তা দিতে আঘাত করেন স্বামীর মাথায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মারিয়াপ্পনের।
পুলিশ জানিয়েছে, খুনের পর ঘটনাটি চাপা দিতে উদ্যোগী হন ওই মহিলা। তিনি প্রথমে স্বামীর গলা চিরে দেন। তার পর তাঁকে ওই অবস্থাতেই ফেলে রেখে বাড়ি ছেড়ে মেয়ের বাড়িতে চলে যান। সন্ধ্যায় মেয়ের সঙ্গে বাড়ি ফিরে মৃত স্বামীকে দেখে মেয়ের সামনে চমকে যাওয়ার ভান করেন। এমনকি, মেয়েকে বলেন, তাঁর বাবা মদ খেয়ে নিজেকে প্রায়ই আঘাত করতেন। হয়তো সে ভাবেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। কিন্তু পুলিশ তদন্তে নেমেই গোলমালের আঁচ পায়।
ওই ধরনের আঘাত যে নিজের পক্ষে করা সম্ভব নয়, তা বুঝতেই পন্ডিসেলভিকে জেরা করতে শুরু করেন তাঁরা। জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করে নেন মৃতের স্ত্রী। মারিয়াপ্পনের প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি সর্বক্ষণ নেশা করে থাকতেন। তা নিয়ে ওই দম্পতির মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি, অশান্তি লেগেই থাকত। তবে বিষয়টি এই জায়গায় যেতে পারে তা ভাবতেই পারেননি তাঁরা।