Gujrat

মোদীর প্রতি ভালবাসাই মিলিয়েছিল দু’জনকে, এক মাসেই স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ স্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি প্রেম এক ছাদনাতলায় তলায় নিয়ে এসেছিল জয় দাভে ও আল্পিকা পান্ডেকে। অথচ মাস ঘুরতে না ঘুরতেই অশান্তির মেঘ তাঁদের সংসারে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আমদাবাদ শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৬:১৪
Share:

ছবি: টুইটার

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি প্রেম এক ছাদনাতলায় তলায় নিয়ে এসেছিল জয় দাভে ও আল্পিকা পান্ডেকে। অথচ মাস ঘুরতে না ঘুরতেই অশান্তির মেঘ তাঁদের সংসারে। নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ আনলেন আল্পিকা।

Advertisement

কয়েকমাস আগে গুজরাট নিবাসী জয় দাভে নিজের এবং তাঁর স্ত্রীয়ের একটি ছবি দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সমর্থন করে ‘নমো এগেইন’ লেখা টি-শার্ট পরে দু’জনের ছবি দিয়ে তিনি লেখেন যে, ‘আপনাকে সমর্থন করেই আমাদের প্রেম, দেখা হওয়া।’ কিন্তু তার পরেই ওই ব্যক্তির স্ত্রী আল্পিকা পান্ডে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ওই টুইটের প্রেক্ষিতেই। নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে লাগাতার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ আনেন তিনি।

কয়েক মাস আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর টুইটার হ্যান্ডলে নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে একটি কমেন্ট করেছিলেন জয় দাভে নামের ওই ব্যক্তি। সেই কমেন্টটিতে ‘লাভ’ রিঅ্যাক্ট করেছিলেন আল্পিকা নামের সেই তরুণী। নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে করা সেই টুইটই তাঁদের কাছাকাছি নিয়ে এসেছিল বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। গত বছর ৩১ ডিসেম্বর দু’জনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু তার পরই জয়ের অন্য একটি রূপ তাঁর সামনে আসেন বলে জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।

Advertisement

আরও পড়ুন: সিবিআই-পুলিশ সংঘাত নিয়ে উত্তাল সংসদ, একযোগে কেন্দ্রকে আক্রমণ বিরোধীদের

তিনি জানিয়েছেন যে, তাঁর শ্বশুরবাড়িতে বিন্দুমাত্রও স্বাধীনতা নেই তাঁর। সব সময়েই নিজের স্বামী তো বটেই, এমনকি, তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ীরও নজরবন্দি হয়ে থাকতে হয় তাঁকে। সব সময়েই তিনি কী করছেন, কোথায় যাচ্ছেন সেই দিকে নজর রাখা হয়। বাথরুমে বেশি সময় কাটালেও সেখানেও তিনি কী করছিলেন বলে প্রশ্ন তোলেন তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা, এমনই অভিযোগ করেছেন তিনি। এ ছাড়াও বাড়ি থেকে একা বেরোনোর অধিকার নেই প্রিয়াঙ্কার। কাউকে না কাউকে সঙ্গে নিয়ে বেরোতে হয় তাঁকে। তাঁর মোবাইল ফোনও যখন তখন দেখতে চান জয়।

আরও পড়ুন: মুরগির বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের!

এই মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই গত ১ ফেব্রুয়ারি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে তাঁর বাপের বাড়িতে গিয়ে উঠেছেন আল্পিকা। মানসিক অত্যাচারের সঙ্গেই শ্বশুর বাড়িতে লাগাতার শারীরিক অত্যাচারেরও শিকার হয়েছিলেন তিনি বলে অভিযোগ করেছেন আল্পিকা। অতিষ্ঠ হয়ে একসময় সুইসাইড করার কথাও ভেবেছিলেন তিনি। এখনও তাঁর এই সমস্ত টুইট মুছে ফেলার জন্য তার শ্বশুরবাড়ি থেকে লাগাতার চাপ আসছে বলে অভিযোগ করেছেন হতাশ আল্পিকা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement