প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করেন এক মহিলা। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়েছে বেশ কিছু বছর আগে। আদালতের নির্দেশে একমাত্র সন্তান থাকে মায়ের কাছে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর তাকে দেখতে যান বাবা, দাদু-ঠাকুরমা। কিন্তু মহিলার অভিযোগ, ছেলেকে দেখতে আসার নাম করে হট্টগোল করেন প্রাক্তন স্বামী এবং তাঁর বাবা-মা। প্রায়শই অশান্তির চেষ্টা করেন। এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহিলা। তবে তথ্যপ্রমাণ পেয়ে উল্টে মামলাকারীকেই জরিমানা করল দিল্লি হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের পর্যবেক্ষণ, অশান্তিতে প্ররোচনা দেন ওই মহিলাই।
সম্প্রতি দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি নবীন চাওলা এবং বিচারপতি রেণু ভাটনগরের ডিভিশন বেঞ্চে একটি মামলা ওঠে। মামলাকারী মহিলা জানান, কয়েক বছর আগে তাঁর বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়েছে। একমাত্র সন্তানের দেখাশোনা তিনিই করেন। পরিবার আদালতের নির্দেশ ছিল নির্দিষ্ট সময় অন্তরে সন্তানকে দেখতে যেতে পারবেন বাবা। দেখা করতে পারবে দাদু-ঠাকুরমা। কিন্তু নাতিকে দাদু-ঠাকুরমা যখন দেখতে আসেন, তাঁরা অশান্তি পাকান বলে অভিযোগ মহিলার। একই অভিযোগ করেন প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধেও। তাঁর দাবি, আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘন করছেন প্রাক্তন স্বামী এবং তাঁর পরিবার। সন্তানের মানসিক অবস্থায় প্রভাব ফেলছে এই ব্যবহার। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একটি ভিডিয়ো ফুটেজও আদালতে জমা দেন মহিলা।
ভিডিয়োটি মহিলাই রেকর্ড করেছিলেন। সে দিনও সন্তানকে দেখতে এসেছিলেন বাবা। কিন্তু ভিডিয়ো খুঁটিয়ে দেখার পরে মহিলাকেই অশান্তিতে অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করে আদালত। হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ভিডিয়ো থেকে পরিষ্কার অশান্তি করতে তিনি প্ররোচনা দিয়েছেন। বার বার এমন কিছু কথাবার্তা বলছেন, যাতে প্রাক্তন স্বামী মেজাজ হারান। এর পর আদালত মামলাকারীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশ, মিথ্যা অভিযোগে মামলা করার জন্য প্রাক্তন স্বামীকে ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে মহিলাকে। বাকি ২৫ হাজার টাকা দিতে দিল্লি হাই কোর্টের আইনজীবীদের ‘ওয়েলফেয়ার ফান্ড’-এ। সময় দেওয়া হয়েছে চার সপ্তাহ।