গ্রেফতার করা হয়েছে ওই তরুণীকে। অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।
ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। দেখা করার জন্য জোরাজুরি।এক যুবকের আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন এক তরুণী। ওই যুবককে ‘উচিত শিক্ষা’ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা করতে গিয়ে নিজেই বিপদে পড়লেন তিনি। পুলিশের খাতায় নাম উঠল তাঁর। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের হল অপহরণ ও খুনের চেষ্টার মামলা।
হায়দরাবাদের ঘটনা। অভিযুক্ত ২৪ বছরের ওই তরুণী পেশায় সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। একটি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক সপ্তাহ আগে ওই তরুণীর উপর নজর পড়ে পেশায় কাষ্ঠশিল্পী, ২৩ বছরের ভি সাই কুমারের। প্রথম দেখাতেই ওই তরুণীকে ভাল লেগে যায় তার। এর পর থেকে প্রতিদিন ওই তরুণীর পিছু নিতে শুরু করে সে। ফোন নম্বরও জোগাড় করে ফেলে। যখন তখন ফোন করে নিভৃতে দেখা করার জন্য জোরাজুরি শুরু করে।
ভি সাই কুমারের এমন আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন ওই তরুণী। বলে বুঝিয়ে লাভ না হওয়ায়তাঁর পাঁচ বন্ধুকে বিষয়টি জানান। পুলিশি হস্তক্ষেপ ছাড়াই তাকে ‘শিক্ষা’ দিতে সকলে মিলে ছক কষেন। সেই মতো সাই কুমারকে সেকেন্দরাবাদে একটি কলেজের সামনে ডেকে পাঠান ওই তরুণী। নির্ধারিত সময়ে সে এসে হাজির হলে, ছ’জন মিলে তার উপর চড়াও হন। বেধড়ক মারধরের পর বাইকে তুলে মলকাজগিরিতে একটি ফাঁকা জায়গায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: কাল বামেদের অস্তিত্ব রক্ষার ব্রিগেড, থাকছেন না বুদ্ধদেব
আরও পড়ুন: লাইভ: এই সরকার নির্দয়, এক মুহূর্ত থাকার অধিকার নেই, মমতাকে আক্রমণ মোদীর
গোপালপুরমের এসিপি জানান,‘‘কোনওরকমে ওই তরুণী ও তাঁর বন্ধুদের হাত ছাড়িয়ে পালাতে সক্ষম হয় সাই কুমার। জখম অবস্থায় স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানকার চিকিত্সকেরা পুলিশকে খবর দেন। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল বলে জানায়। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই তরুণী ও তাঁর বন্ধুদের গ্রেফতার করা হয়। জেরায় অপরাধ কবুল করেছেন সকলে। তাঁদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের হয়েছে।’’