প্রেমিকের জন্য অডিয়ো বার্তা রেখে আত্মঘাতী গুজরাতের মহিলা। —প্রতীকী চিত্র।
ফোনে প্রেমিকের উদ্দেশে অডিয়ো রেকর্ড করে আত্মঘাতী হলেন তরুণী। তাঁর ঘর থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া না-গেলেও তরুণীর ফোন ঘেঁটে অডিয়ো বার্তা উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্যেরা। তার পর তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হন।
গুজরাতের বনসকাঁথা জেলার পালানপুরের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার নাম রাধা ঠাকোর (২৭)। একটি বিউটি পার্লার চালাতেন তিনি। কয়েক বছর আগে মহিলার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল। তার পর থেকে বোনের পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। তাঁর কোনও প্রেমের সম্পর্কের কথা পরিবারের লোকজনের জানা ছিল না, পুলিশের কাছে তেমনটাই দাবি করেছেন মহিলার বোন। তিনি থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন।
অভিযোগপত্রে মৃতের বোন জানিয়েছেন, রবিবার রাতে পার্লার থেকে বাড়ি ফিরে খাবার খেয়ে ঘুমোতে গিয়েছিলেন মহিলা। পরের দিন সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। বাড়ির লোকজনই মহিলার ফোন ঘাঁটেন। সেখানে পান রেকর্ড করে রাখা অডিয়ো বার্তা। সব পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন তাঁরা।
অডিয়োতে কোনও এক পুরুষের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন মহিলা। বলেছেন, ‘‘তুমি আমাকে ক্ষমা কোরো। তোমাকে না জানিয়ে আমি একটি ভুল পদক্ষেপ করছি। দুঃখ পেয়ো না, খুশি থাকো, বিয়ে করে জীবন উপভোগ কোরো। আমার কথা ভেবো না। হাত জোড় করে আমি ক্ষমা চাইছি। তুমি খুশি হলেই আমার আত্মা শান্তি পাবে। আমি আমার কাজ আর জীবন নিয়ে হতাশ, তাই এই সিদ্ধান্ত নিলাম।’’ কার উদ্দেশে কথাগুলি বলে গিয়েছেন মহিলা, তা জানেন না তাঁর পরিবারের লোকজন। অচেনা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধেই তাঁর বোন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
উল্লেখ্য, বেঙ্গালুরুর ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষের আত্মহত্যা সারা দেশে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ করে আত্মঘাতী হয়েছেন অতুল। তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল। অভিযোগ, একাধিক মিথ্যা মামলা তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করেছিলেন তাঁর স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া। ২৪ পাতার সুইসাইড নোট লিখে, দেড় ঘণ্টার ভিডিয়ো রেকর্ড করে অতুল আত্মঘাতী হন। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা রুজু হয়েছে নিকিতা এবং তাঁর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। তাঁদের গ্রেফতারও করা হয়েছে।