— প্রতীকী চিত্র।
সিবিআই আধিকারিক হিসাবে নিজের পরিচয় দিয়ে হরিয়ানার একটি পরিবারের কাছ থেকে ৫২ লক্ষ টাকা আদায়ের অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত পুলিশের জালে পড়লেন পূজা রানি। পঞ্জাবের ভিজিল্যান্স ব্যুরো শুক্রবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে। একই সঙ্গে পুলিশের জালে পড়েছেন পূজার চার সঙ্গীও। তবে পূজার স্বামীর খোঁজ এখনও পায়নি পুলিশ।
কখনও সিবিআই আধিকারিক, আবার কখনও ভিজিল্যান্স ব্যুরোর কর্তা— বিভিন্ন পরিচয়ে মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই ছিল এই গ্যাংয়ের উদ্দেশ্য। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হলেও এত দিন তাঁদের পাত্তা পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি লুধিয়ানার কৃষক পালমিন্দর সিংহ অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে পালমিন্দর অভিযোগ করেন, তিনি পরিবার সূত্রে প্রাপ্ত ১৮ একর জমি বিক্রি করেছেন। তার পর তিনি ভিজিল্যান্স ব্যুরোর একটি চিঠি পান। সেখানে বলা হয়, পালমিন্দর বেআইনি ভাবে পঞ্চায়েতের মালিকানায় থাকা জমি বিক্রি করে দিয়েছেন। তার পর পালমিন্দরের কাছে এসে দাঁড়ান পূজা রানি। নিজেকে লুধিয়ানা ভিজিল্যান্স দফতরের কর্তা পরিচয় দিয়ে পূজা তাঁকে বলেন, যে মামলায় তিনি ফেঁসেছেন তাতে অনেক ভোগান্তি সহ্য করতে হবে। তাতে ঘাবড়ে যান পালমিন্দর। শেষ পর্যন্ত পূজার চার সঙ্গী পালমিন্দরকে বিভিন্ন রকম আশঙ্কার কথা বলে ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করেন। জানান, মামলা মিটিয়ে দেবেন তাঁরা। কিন্তু সেই সময় অত টাকা পালমিন্দরের কাছে নগদ ছিল না। তাই ১৫ লক্ষ এবং ১০ লক্ষ টাকার দু’টি চেক ভুয়ো ভিজিল্যান্স কর্মীদের ঘুষ দেন তিনি। কথা ছিল, পালমিন্দর নগদ ৫০ লক্ষের ব্যবস্থা করতে পারলে চেক দু’টি ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়াও ২৭ হাজার টাকা নগদও আদায় করেন পূজার সঙ্গীরা।
দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় অভিযোগ জানাতে থানায় যান পালমিন্দর। সেই অভিযোগপত্রের উপর ভিত্তি করে ভিজিল্যান্স নতুন মামলা শুরু করে। শুরু হয় পূজার খোঁজ। শেষ পর্যন্ত, শুক্রবার পূজাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। এর ঠিক আগে, একটি পরিবারকে এ ভাবেই ভয় দেখিয়ে ৫২ লক্ষ টাকা আদায় করে নিয়েছিলেন পূজা। সে বার পূজা সেজেছিলেন সিবিআই কর্তা।