—প্রতীকী চিত্র।
পণের দাবিতে বধূকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামী এবং শ্বশুরের বিরুদ্ধে। বধূর দেহ বাড়ির উঠোনেই পুঁতে দেন তাঁরা। তার পর সেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। অভিযুক্ত দু’জনকেই খুঁজছে পুলিশ।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের জাজমনপুর গ্রামের। মৃত তরুণীর নাম অনিতা (২২)। বছর খানেক আগে জাজমনপুরের সুরজের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য তরুণীকে হেনস্থা করা হত। শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা প্রত্যেকেই সেই হেনস্থায় যুক্ত ছিলেন। বাদ যাননি অনিতার স্বামীও।
তরুণীর ভাই পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর দিদির উপর অত্যাচার করা হত নিয়মিত। তাঁদের কাছ থেকে বিয়ের যৌতুক হিসাবে একটি মোটরসাইকেল চাওয়া হয়েছিল। তা দিতে পারছিলেন না বলেই এই হেনস্থা। যত দিন যাচ্ছিল, অত্যাচারের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছিল। মোটরসাইকেলের কারণেই তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর ভাইয়ের।
এসপি সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন, গ্রামের একটি বাড়ির ভিতর থেকে মাটি খুঁড়ে তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পণপ্রথা, হেনস্থা এবং খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্তদের এখনও ধরা যায়নি। তাঁরা ঘটনার পর থেকেই পলাতক। দু’জনের সন্ধান চলছে।