—ফাইল চিত্র।
বাড়ির সামনের পার্কে হাঁটতে বেড়িয়েছিলেন। ঠিক যেমনটা প্রতি সন্ধ্যায় যান। কিন্তু, হাঁটা সেরে বাড়ি নয়, দিল্লির সাংবাদিক অপর্ণা কালরার ঠাঁই হল হাসপাতালে। সেই সন্ধ্যাতেই পুলিশের ফোন পেয়ে অপর্ণার পরিবার জানতে পারে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় এলাকারই এক হাসপাতালে রয়েছেন তিনি। মাথায় গুরুতর আঘাত। অপর্ণার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিতসকেরা।
উত্তর-পশ্চিম দিল্লির অশোক বিহার এলাকায় পরিবারের সঙ্গেই থাকেন বছর পঁয়তাল্লিশের অপর্ণা। অপর্ণার দাবি, বুধবার পার্কে হাঁটার সময় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি আঘাত করে তাঁর মাথায়। ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক অপর্ণা শহরের বিভিন্ন নামকরা মিডিয়া হাউসে সাংবাদিকতা করেছেন। অপর্ণার কাকা এইচ সি ভাটিয়া জানিয়েছেন, হামলার ফলে অপর্ণার মাথার সামনের দিকের কিছুটা অংশ উড়ে গিয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও স্থিতিশীল। মস্তিষ্কের স্নায়ুতে একাধিক আঘাত লেগেছে তাঁর।
আরও পড়ুন
গোটা কাশ্মীরই ভারতের: সংসদে সরব সুষমা
পুলিশ জানিয়েছে, গত সন্ধ্যায় একটি ফোন আসে তাদের কাছে। নাম-পরিচয় গোপন রেখে এক ব্যক্তি ফোনে জানান, রক্তাক্ত অবস্থায় পার্কে বেহুঁশ হয়ে পড়ে রয়েছেন অপর্ণা। পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত রাতেই তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মস্তিষ্কে জল জমে যাওয়ায় সেখানেই তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। এ দিন দুপুরে তাঁর সিটি স্ক্যান করানো হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আপাতত স্থিতিশীল হলেও তাঁর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন
ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে কেজরীবাল সরকার, জানাল রিপোর্ট
দিল্লির পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (উত্তর-পূর্ব) মিলিন্দ দুমব্রে বলেন, “এই হামলার কোনও প্রত্যক্ষদর্শী মেলেনি। যিনি ফোন করে অপর্ণার খবর জানিয়েছিলেন তাঁর পরিচয়ও জানা যায়নি।” প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, লোহার রড দিয়েই অপর্ণাকে আঘাত করা হয়। তবে এই হামলার কারণ নিয়ে পুলিশের মতোই ধন্দে অপর্ণার পরিবারও। অপর্ণার কাকা বলেন, “খুবই সাহসী মহিলা অপর্ণা। কিন্তু, ওর সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা থাকতে পারে বলে আমাদের জানা নেই।” প্রথমটায় মনে করা হয়েছিল, মোবাইল ফোন বা কোনও দামি জিনিস কেড়ে নিতেই হয়ত এই হামলা চালানো হয়েছে। তবে তাঁর পরিবার জানিয়েছে, মোবাইল ফোন বাড়িতে রেখে পার্কে গিয়েছিলেন অপর্ণা। আর গত সন্ধ্যায় তাঁর সঙ্গে কোনও দামি জিনিসপত্রও ছিল না।