জঙ্গিহানা প্রাণ নিতে বসেছিল অন্তঃসত্ত্বার। কিন্তু রাতভর লড়াই চালিয়ে চিকিৎসকরা জানালেন, সুস্থ মা ও শিশু দু’জনেই। ছবি: পিটিআই।
জঙ্গিদের গুলিতে জখম হয়েছিলেন রাইফেলম্যান নাজির আহমেদ। জখম হয়েছিলেন নাজিরের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীও। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। চিকিৎসকদের তৎপরতায় প্রাণ তো বেঁচেছেই। একটি কন্যাসন্তানেরও জন্ম দিয়েছেন নাজিরের স্ত্রী।
জম্মুর সুঞ্জওয়ান মিলিটারি স্টেশনে যে জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছিল, তারা সফ্ট টার্গেট খুঁজে নিতে আবাসন এলাকায় ঢুকে পড়েছিল। গোলাগুলিতে তাই সেনাকর্মীদের পরিজনরাও হতাহত হয়েছেন। তাঁদেরই একজন হলেন নাজির আহমেদের স্ত্রী।
রাইফেলম্যান নাজির এবং তাঁর স্ত্রীকে শনিবারই সতবারী সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অন্তঃসত্ত্বা মহিলা গুরুতর জখম হয়েছিলেন বলে সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু বাহিনীর ডাক্তাররা গর্ভবতী মায়ের প্রাণ বাঁচাতে সারা রাত কাজ করেন। সেনার জনসংযোগ আধিকারিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল দেবেন্দ্র আনন্দ বলেছেন, ‘‘গুলিতে গুরুতর ভাবে জখম হওয়া মহিলাকে বাঁচিয়ে রাখতে চিকিৎসকরা সারা রাত কাজ করেছেন এবং একটা কন্যাসন্তানের জন্ম দিতে তাঁকে সাহায্য করেছেন।’’ মা ও শিশু, দু’জনেই সুস্থ রয়েছেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৩০ ঘণ্টা পর জঙ্গি মুক্ত সেনা ঘাঁটি, হত ৫ সেনা, ৪ জঙ্গি
আরও পড়ুন: #গার্লসহুড্রিঙ্কবিয়ার: তুমুল ট্রোলের মুখে পর্রীকর
১৪ বছরের এক কিশোরও জঙ্গি হামলায় জখম হয়েছে। তার মাথায় গুলি লেগেছে। ওই কিশোরের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে।
সুঞ্জওয়ান সেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হানায় মোট ৫ সেনাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২ জন জুনিয়র কমিশনড অফিসার। মৃত্যু হয়েছে এক সেনাকর্মীর বাবার। আর জখম মোট ১১ জন। ৩০ ঘণ্টার অভিযানে বাহিনী ৪ হানাদারকেই খতম করেছে।