অভিযুক্ত মহিলা তান্ত্রিক শোভনা।
নরবলি-কাণ্ড নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যে আবারও কেরলে তন্ত্রসাধনার নামে শিশুদের ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে এক মহিলার বিরুদ্ধে। খবর চাউর হতেই অভিযুক্ত মহিলার তন্ত্রসাধনার কেন্দ্রে ভাঙচুর স্থানীয় লোকজন। ঘটনাটি পাথানামথিতা জেলার।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম শোভনা ওরফে বাসন্তী। নিজেকে তান্ত্রিক বলে পরিচয় দিতেন তিনি। নানা রকম তন্ত্রসাধনার কাজও করতেন। সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। স্থানীয়দের দাবি, সেই ভিডিয়োতে একটি শিশুকে ওই তন্ত্রসাধনার কাজে লাগিয়েছিলেন শোভনা। ওই ভিডিয়ো যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ভিডিয়োয় শিশুটিকে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পাওয়া গিয়েছে।
ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসতেই স্থানীয় বাসিন্দারা শোভনার বাড়ি ঘিরে ফেলে। সেখানে ভাঙচুর চালান। ভেঙে দেওয়া হয় তাঁর তন্ত্রসাধনার কেন্দ্রও। স্থানীয়দের অভিযোগ, মহিলার তন্ত্রসাধনা নিয়ে অনেক দিন ধরেই আপত্তি জানাচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দাবি তাঁদের।
বুধবারের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই রাস্তায় নেমে ওই তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। তাঁকে গ্রেফতারের দাবি জোরালো হয়। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ডেপুটি পুলিশ সুপার শোভনাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। তার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তন্ত্রসাধনায় শিশুদের ব্যবহার অত্যন্ত উদ্বেগের। সমাজের এই প্রথার বিরুদ্ধে সকলে মিলে একসঙ্গে লড়ার কথাও বলেছেন মন্ত্রী। পাশাপাশি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
নরবলি-কাণ্ড নিয়ে কেরল উত্তাল। এই ঘটনার তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে পুলিশের হাতে। তন্ত্রসাধানার নামে দুই মহিলাকে অপহরণ করে বলি দেওয়া এবং তাঁদের মাংস খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক দম্পতি এবং তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। তিন জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।