প্রতীকী ছবি।
উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডের পর এ বার মধ্যপ্রদেশ। এক মহিলাকে গণধর্ষণের পর তাঁর যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি নির্যাতিতা।
শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সিধি জেলায়। এই ঘটনায় চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে মহিলার কাছে জল চেয়েছিলেন চার অভিযুক্ত। কিন্তু মহিলা তা দিতে অস্বীকার করেন। তখনই জোর করে বাড়িতে ঢুকে মহিলার উপর চড়াও হন ওই চার জন। অভিযোগ, গণধর্ষণের পর মহিলার যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়ার পর সেখান থেকে চম্পট দেন।
রেওয়া পুলিশ রেঞ্জ-এর আইজি উমেশ যোগা বলেন, “নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তরা নির্যাতিতার গ্রামেরই।”
পুলিশ জানিয়েছে, চার বছর আগে নির্যাতিতার স্বামী মারা গিয়েছে। বোন এবং তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে একটি ঝুপড়িতে থাকেন মহিলা। একটা ছোট দোকানও আছে তাঁর। ঘটনার দিন মহিলাকে অচৈতন্য অবস্থায় সিধি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাঁকে রেওয়াতে সঞ্জয় গাঁধী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর যৌনাঙ্গে ক্ষতের চিহ্ন মিলেছে। অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
গত ৬ জানুয়ারি ঝাড়খণ্ডে এক বিধবা মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের পর তাঁর যৌনাঙ্গে স্টিলের গ্লাস ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তিন জনের বিরুদ্ধে। তিন জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার কয়েক দিন আগেই উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁতে বছর পঞ্চাশের এক মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। তাঁর পাঁজর ও পায়ের হাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। পরে মৃত্যু হয় মহিলার। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।