প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
তিন দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে একটি অজগরের পেটের ভিতর থেকে উদ্ধার হল এক মহিলার দেহ। এই ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাটি মধ্য ইন্দোনেশিয়ার। শনিবার ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
দক্ষিণ সুলায়েসি প্রদেশের কালেম্পাং গ্রামে এই ভয়ানক ঘটনাটি ঘটেছে। ১৬ ফুটের একটি অজগরের পেট থেকে ওই মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় প্রশাসনের। মৃতের নাম ফরিদা। গ্রামপ্রধান সুয়ার্দি রোসি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে মহিলা নিখোঁজ ছিলেন। রাতে না ফেরায় তাঁর সন্ধানে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। শুক্রবারও সারাদিন ধরে খোঁজ চলে। অবশেষে পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়।
গ্রামপ্রধান সুয়ার্দি জানান, শনিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি জঙ্গলে ফরিদার কিছু জিনিস পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তখনই তাঁদের সন্দেহ হয়। জঙ্গলের ভিতরে ঢুকতেই তাঁরা দেখতে পান অজগরটিকে। সেটি নড়ার মতো অবস্থায় ছিল না। গ্রামবাসীদের সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। কারণ সুলায়েসি প্রদেশে এর আগেও এ রকম ঘটনা ঘটেছিল। এর পরই গ্রামবাসীরা অজগরের পেট কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। সুয়ার্দির দাবি, অজগরের পেট কাটতেই ফরিদার দেহ বেরিয়ে আসে।
বন দফতর জানাচ্ছে, এই ধরনের ঘটনা খুবই বিরল। তবে ইন্দোনেশিয়ায় সাম্প্রতিক অতীতে এ রকম বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। গত বছরেই সুলায়েসির তিনানগিয়া জেলায় অজগরের পেট থেকে এক কৃষকের দেহ উদ্ধার হয়। ২০১৮ সালে দক্ষিণ-পূর্ব সুলায়েসির মুনা শহরে অজগরের পেট থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছিল।