—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন যুবক। তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখে চরম পদক্ষেপ করলেন স্ত্রী। উত্তর-পূর্ব দিল্লির শাস্ত্রী পার্কের ঘটনা। তরুণের দেহের কাছ থেকে উদ্ধার সুইসাইড নোট। সেখানে তিনি ‘সব কিছু’র জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণীর নাম ঝুমি দাস। বয়স ২৫ বছর। তাঁর স্বামীর নাম ভাস্কর ডেকা। তাঁর বয়স ২৭ বছর। দু’জনে অসম থেকে দিল্লিতে কাজ করতে এসেছিলেন। ভাস্কর ওম্যাক্স শপিং মলে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন। ঝুমি সাফাইকর্মীর কাজ করেন। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার বাড়িতেই ভাস্করের দেহ মিলেছে। অন্য দিকে, যমুনা খাদারে জলের পাইপলাইনে ঝুমির ঝুলন্ত দেহ পেয়েছে পুলিশ।
ভাস্করের দেহের কাছে একটি সুইসাইড নোটও মিলেছে। তাতে অহমিয়া ভাষায় তিনি লিখেছেন, স্ত্রীকে খুব ভালবাসেন। তাঁকে অসম থেকে দিল্লিতে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত ভুল হয়েছে। ‘সব কিছু’র জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি। যদিও ঠিক কেন আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি, তা পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চরম পদক্ষেপের আগে এক বন্ধুকে ফোন করেছিলেন ঝুমি। তাঁকে জানিয়েছিলেন, ভাস্কর আত্মহত্যা করেছেন। তিনিও চরম পদক্ষেপ করতে চলেছেন। অসমে ওই দম্পতির পরিবারকে খবর দিয়েছে পুলিশ। তদন্ত শুরু করেছে।