বেঙ্গালুরুতে আন্ডারপাসের জমা জলে গাড়ি আটকে মৃত্যু তরুণীর। ছবি: পিটিআই।
আন্ডারপাসের জমা জল প্রাণ কাড়ল বেঙ্গালুরুতে। ২২ বছরের এক তরুণীর গাড়ি জমা জলে আটকে গিয়েছিল বলে খবর। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
বেঙ্গালুরুর একেবারে প্রাণকেন্দ্রে রবিবার এই ঘটনা ঘটে। তুমুল বৃষ্টির কারণে শহরের একাধিক এলাকায় জল জমে গিয়েছিল। আন্ডারপাসে জমা জলের পরিমাণ ছিল অনেকটাই বেশি। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, প্রায় গলা পর্যন্ত ডুবে থাকার মতো জল জমেছিল ওই আন্ডারপাসে। সেখান দিয়ে গাড়ি নিয়ে এগোতে গিয়েই এই বিপত্তি।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিতে মোট ছ’জন যাত্রী ছিলেন। তাঁরা সকলেই একই পরিবারের সদস্য। অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া থেকে গাড়ি নিয়ে বেঙ্গালুরুতে ঘুরতে এসেছিলেন তাঁরা। আন্ডারপাসে ঠিক কতটা জল জমেছে, বাইরে থেকে দেখে তা বুঝতে পারেননি চালক। তিনি সেখান দিয়েই গাড়ি এগিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জলে গাড়িটি ডুবে যায়। ফলে আর তা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি চালক।
গাড়ি আটকে গিয়েছে দেখে ঘটনাস্থলে স্থানীয়েরা ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় দমকল এবং জরুরি পরিষেবার কর্মীদের। তাঁদের দীর্ঘ ক্ষণের চেষ্টায় গাড়ি থেকে সকলকেই উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তরুণীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
মৃত তরুণীর নাম ভানুরেখা। তিনি একটি নামী তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী।
এই ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে যান কর্নাটকের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তিনি এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং মৃতের পরিবারের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। গাড়িতে আটকে পড়া অন্য যাত্রীদের চিকিৎসাও বিনামূল্যে করা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে তিনি এ-ও বলেন, ‘‘বৃষ্টির কারণে আন্ডারপাসের ব্যারিকেডটি নীচে পড়ে গিয়েছিল। গাড়ির চালক ঝুঁকি নিয়ে সেখান থেকে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এই ঝুঁকি নেওয়া উচিত হয়নি।’’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গাড়িটি আটকে যাওয়ার পর ক্রমশ জলে ডুবে যাচ্ছিল। ভিতর থেকে যাত্রীরা সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিলেন। স্থানীয়েরা অনেকেই দূর থেকে শাড়ি, দড়ি ইত্যাদি ছুড়ে দিয়ে তাঁদের টেনে বাইরে আনার চেষ্টা করেছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে দু’জন সাঁতার কেটে বাইরে আসতে পেরেছিলেন। কিন্তু বাকিদের উদ্ধার করার চেষ্টা প্রাথমিক ভাবে ব্যর্থ হয়। আরও আগে উদ্ধার করা গেলে হয়তো তরুণী প্রাণে বেঁচে যেতেন, মত অনেকের।