প্রতীকী ছবি।
আর পাঁচটা সন্ধ্যার মতোই লোকজনের ভিড়ে গমগম করছিল জায়গাটা। হঠাৎই এক ব্যক্তিকে দেখা গেল দৌড়ে বাসে উঠে পড়তে। গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। রক্তে ভেসে যাচ্ছে গোটা শরীর। তত ক্ষণে ভিড় ঠেলে বাসে উঠে পড়েছেন এক মহিলাও। যাত্রীরা কিছু বোঝার আগেই ওই ব্যক্তির উপর হামলা করেন তিনি। মহিলার হাত থেকে শেষমেশ ওই ব্যক্তিকে বাঁচান বাসের যাত্রীরা। এর পর ওই মহিলাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন তাঁরা।
শুক্রবার ভরসন্ধ্যায় বেঙ্গালুরুর কয়েক কিলোমিটার দূরে হোসূর রোডের কাছে ঘটে এই ঘটনা। তবে নাটকের এখানেই শেষ নয়। পুলিশ জানিয়েছে, কোনও অচেনা ব্যক্তি নন, বছর আটচল্লিশের ওই মহিলা আসলে তাঁর স্বামীর উপরেই হামলা চালিয়েছেন। অভিযোগ, বাসে ওঠার আগে স্বামীর উপর তিন বার গুলিও চালান তিনি।
আরও পড়ুন
নির্ভয়া-কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে ফাঁসিই বহাল চার ধর্ষকের
প্রতীকী ছবি।
পুলিশ জানিয়েছে, তামিলনাড়ুর হোসূর থেকে নিজেদের গাড়িতে বেঙ্গালুরুর দিকে আসছিলেন ওই দম্পতি। গাড়ি চালাচ্ছিলেন মহিলার স্বামী সাইরাম। পাশের আসনে বসেছিলেন তাঁর স্ত্রী হামসা। পথেই একটি রেস্তোরাঁয় খাওয়ার জন্য গাড়ি দাঁড় করান সাইরাম। পুলিশের দাবি, সেখানে মদ্যপানও করেছিলেন তাঁরা। এর পর গাড়ি নিয়ে তাঁরা ফের বেঙ্গালুরুর দিকে রওনা হন। গাড়ির ভিতরেই তাঁদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া শুরু হয়। সেখানেই সাইরামকে তিন বার গুলি করেন হামসা। গুলি লাগার পর গাড়ি থামিয়ে তা থেকে বের হয়ে রাস্তা ধরে ছুটতে থাকেন সাইরাম। সেখানেই বেঙ্গালুরুগামী একটি বাসে উঠে পড়েন তিনি। এর পরও থামেননি হামসা। নিজেই গাড়ি চালিয়ে ওই বাসের পিছু ধাওয়া করেন। বাসের সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে বাসে উঠে ফের সাইরামের উপর চড়াও হন হামসা।
ওই দম্পতির আত্মীয়েরা জানিয়েছেন, হামসা ও সাইরামের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকত। তাঁরা এক সঙ্গেও থাকতেন না। আপাতত গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫৩ বছরের সাইরাম। পুলিশের দাবি, নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন হামসা। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।