ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখছেন এক স্থানীয় বাসিন্দা। শনিবার পুঞ্চে। ছবি: পিটিআই।
গত কাল রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ ভারতের মাটিতে ফের পা রেখেছিলেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই পুঞ্চের ঝুলা এলাকায় পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে নিহত হলেন এক মহিলা এবং তাঁর ন’বছর ও পাঁচ বছরের দুই সন্তান। পাকিস্তানের পাল্টা দাবি, ভারতীয় গোলাবর্ষণে নিহত হয়েছেন দুই পাক সেনা ও দুই পাক নাগরিক।
সেনার দাবি, গত কাল গভীর রাতে পুঞ্চের সালোত্রী, মাদিয়া, কুন্ডি বারজালা ও দুলাঞ্জার মতো গ্রামে গোলাবর্ষণ শুরু করে পাকিস্তান। তখন ১০৫ মিলিমিটার হাউইৎজারের মতো ভারি কামান ব্যবহার করা হয়। জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। একটি গোলা এসে পড়ে মহম্মদ ইউনুস ও রুবিনা কৌসরের বাড়িতে। নিহত হন বছর চব্বিশের রুবিনা, ন’বছরের শবনম ও পাঁচ বছরের ফয়জ়ান। আহত হন ইউনুস। অন্য দিকে বারামুলার উরিতেও পাক গোলাবর্ষণে আহত হয়েছেন রিয়াজ় আহমেদ।
পুঞ্চ ও বারামুলায় পাক গোলাবর্ষণের মুখে পড়া গ্রামগুলি ছেড়ে নিরাপদ এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ। কামালকোটের বাসিন্দা তাসাদুক হুসেন জানিয়েছেন, উরিতে নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। কিন্তু সেখানে খুব কম পরিবারই রয়েছে। বেশিরভাগ রয়েছেন উরিতে পরিচিতদের বাড়িতে। প্রশাসনের দাবি, আরও মানুষকে উরিতে সরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। পাক সেনার পাল্টা দাবি, আজ নকিয়াল সেক্টরে ভারতীয় গোলাবর্ষণে দুই পাক সেনা ও দুই পাক নাগরিক নিহত হন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান চায় কথা, ভারতের দাবি কাজ
এই হামলার প্রেক্ষিতে ফের উঠে আসছে নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় ও বাঙ্কার তৈরি নিয়ে বিতর্ক। বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও নিরাপদ আশ্রয় বা বাঙ্কার তৈরি হয়নি বলে দাবি বাসিন্দাদের একাংশের। তবে প্রশাসন জানিয়েছে, পুঞ্চ ও রাজৌরির বাসিন্দাদের জন্য ৪০০টি অতিরিক্ত বাঙ্কার তৈরি করার অনুমতি মিলেছে।
অন্য দিকে কাশ্মীরে জামাত-ই-ইসলামির বিরুদ্ধে অভিযান চালু রেখেছে সরকার। ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ নিয়ে আজ জামাত-ই-ইসলামি কর্মীদের বাড়ি-অফিস সিল করা শুরু করেছে প্রশাসন। জামাতকে নিষিদ্ধ করার সমালোচনা করেছেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘একটি আদর্শকে নিষিদ্ধ করা যায় না। এর ফল ভয়ঙ্কর হবে।’’