অনুজ এবং পিঙ্কি শর্মা। ছবি: সংগৃহীত।
আবার সেই উত্তরপ্রদেশ। মুস্কান, প্রগতির পর এ বার স্বামীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল মুজফ্ফরনগরের বধূ পিঙ্কি শর্মার বিরুদ্ধে। হাসপাতালের আইসিইউতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি পিঙ্কির স্বামী অনুজ শর্মা।
পুলিশ সূত্রে খবর, বছর দুয়েক আগে গাজ়িয়াবাদের লোনি থানা এলাকার পিঙ্কির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মুজফ্ফরনগরের ভায়ঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা অনুজের। মেরঠের এক হাসপাতালে কর্মী তিনি। অভিযোগ, কফির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তাঁকে খুন করার চেষ্টা করেন স্ত্রী পিঙ্কি। পরিবারের দাবি, প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করেই অনুজকে খুন করার চেষ্টা করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই পিঙ্কির আচরণে সন্দেহ হয় অনুজের। পরিবারের দাবি, অনুজ কাজে বেরিয়ে গেলেই প্রেমিকের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে কথা বলতেন পিঙ্কি। বিষয়টি অনুজের কানে পৌঁছোয়। তিনি তখন পিঙ্কিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন বলে অনুজের বোন মীনাক্ষীর দাবি। বিষয়টি নিয়ে অনুজের সঙ্গে পিঙ্কির অশান্তিও শুরু হয়। তার পর অনুজের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনে পুলিশের দ্বারস্থ হন পিঙ্কি। দম্পতিকে ডেকে কাউন্সেলিং করানো হয় পুলিশের তরফে। কিন্তু তার পরেও বিশেষ কোনও লাভ হয়নি।
অনুজের বোনের দাবি, প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলার সময় এক দিন পিঙ্কিকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন অনুজ। মোবাইলে প্রেমিকের ছবি এবং মেসেজ দেখতে পান তিনি। অনুজের বোনের আরও দাবি, তাঁর বৌদির প্রেমিক আর কেউ নন, অনুজেরই এক আত্মীয়। গত ২৫ মার্চ অনুজ কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পর কফি খান। অভিযোগ, সেই কফিতে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিলেন পিঙ্কি। কফি খাওয়ার পরই অনুজ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অনুজের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অনুজের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মেরঠে মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুত হত্যাকাণ্ড গোটা দেশে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। সৌরভকে খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁর স্ত্রী মুস্কান রস্তোগী এবং প্রেমিক সাহিল শুক্লের বিরুদ্ধে। সৌরভের দেহ ১৫ টুকরো করে ড্রামে ভরে সিমেন্ট দিয়ে মুখ আটকে দেওয়া হয়। সেই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এখনও চলছে। তার মধ্যেই ওই রাজ্যেরই অরাইয়ায় বিয়ের ১৫ দিনের মধ্যে প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামী দিলীপ যাদবকে খুনের অভিযোগ ওঠে প্রগতি যাদব নামে এক বধূর বিরুদ্ধে। প্রেমিকের সঙ্গে মিলে দিলীপকে ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। আবার সেই উত্তরপ্রদেশে একই ঘটনা প্রকাশ্যে এল।