Murder

নিঃসন্তান মেয়েকে মাতৃত্বের স্বাদ দিতে মহিলাকে খুন করে ১০ মাসের সন্তান চুরি মা-বাবার

শিবসাগর জেলা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক শুভ্রজ্যোতি বোরা বলেন, “অভিযুক্ত দম্পতি নীতুমণি এবং তাঁর সন্তানকে অপহরণ করেন। শিশুটিকে হিমাচল প্রদেশে মেয়ের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া লক্ষ্য ছিল তাঁদের।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:৪৫
Share:

রাজাবাড়ি টি এস্টেটে একটি নালা থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। প্রতীকী ছবি।

তাঁদের মেয়ে নিঃসন্তান। তাই তাঁকে মাতৃত্বের স্বাদ দিতে অন্য এক মহিলাকে খুন করে তাঁর ১০ মাসের সন্তানকে চুরির অভিযোগ উঠল এক দম্পতির বিরুদ্ধে। ওই দম্পতি ছাড়াও এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের ছেলে এবং খুন হওয়া মহিলার মায়ের বিরুদ্ধেও। ঘটনাটি অসমের গুয়াহাটির।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম নীতুমণি লুখুরাখন। তিনি কেন্দুগুড়ি বাইলুং গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার চরাইদেও জেলার রাজাবাড়ি টি এস্টেটের কাছে একটি নালা থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় সিমালগুড়ির বাজারে গিয়েছিলেন নীতুমণি। তার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। জোরহাটের একটি বাস টার্মিনাস থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, হিমাচল প্রদেশে শিশুটিকে পাচার করার চেষ্টা চলছিল। অভিযুক্ত দম্পতি ওখানেই থাকেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ হীরামণি ওরফে প্রণালী গগৈ নামে এক মহিলা এবং তাঁর স্বামী বসন্তকে সিমালগুড়ি স্টেশন থেকে গ্রেফতার করে। তার পর দিন অর্থাৎ বুধবার অভিযুক্ত দম্পতির ছেলে প্রশান্ত গগৈ এবং খুন হওয়া মহিলা নীতুমণির মা ববি লুখুরাখনকে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করে।

Advertisement

শিবসাগর জেলা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক শুভ্রজ্যোতি বোরা বলেন, “অভিযুক্ত দম্পতি নীতুমণি এবং তাঁর সন্তানকে অপহরণ করেন। শিশুটিকে হিমাচল প্রদেশে মেয়ের কাছে পাঠিয়ে দেওয়াই লক্ষ্য ছিল তাঁদের। নীতুমণিকে খুন করার অভিযোগে ধরা পড়ে যান ওই দম্পতি। কিন্তু তত ক্ষণে তাঁদের ছেলে প্রশান্ত ওই শিশুটিকে নিয়ে ট্রেনে করে হিমাচল প্রদেশের উদ্দেশে রওনা হচ্ছিলেন। কিন্তু সিমালগুড়ি থেকে তাঁকে শিশু-সহ ধরে ফেলে পুলিশ।”

বোরা জানিয়েছেন, নীতুমণিকে কাজের টোপ দিয়ে হিমাচল প্রদেশে নিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিলেন দম্পতি। তাঁর কাছ থেকে শিশুটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেই বাধা দেন নীতুমণি। তখনই তাঁকে ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement