দেশের সমস্ত আধা সামরিক বাহিনীর ভাল-মন্দ তাঁর হাতে। তাই আজ কার্যত অভিভাবকের সুরেই সোশ্যাল মিডিয়ার অপপ্রচার থেকে বাঁচতে সশস্ত্র সীমা বলের একটি অনুষ্ঠানে জওয়ান থেকে অফিসার সকলকেই সতর্ক করে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
বছরের শুরুতে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও-তে খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রকে রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিলেন বিএসএফের জওয়ান তেজবাহাদুর যাদব। দেখাদেখি বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হতে সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মকেই বেছে নেন অন্যান্য বাহিনীর বেশ কিছু জওয়ান। জওয়ানদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ প্রকাশ্যে আসায় নড়চড়ে বসতে হয় সরকারকে। বসে তদন্ত কমিশনও। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ না মিললেও, মুখ পোড়ে সরকারের। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে আজ সশস্ত্র সীমা বলের অনুষ্ঠানে রাজনাথ বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সাবধান। সেখানে উল্টো-পাল্টা নানা ধরনের খবর ছড়ায়। অনেকে ঘটনার সত্যতা বিচার না করে সেই পোস্ট অন্য কাউকে ফরোওয়ার্ড করে দেন। বহু ভারত বিরোধী শক্তি ভুয়ো খবর ছড়ানোয় সক্রিয়। বাহিনীর সদস্যদের এ নিয়ে সাবধান থাকতে হবে।’’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মতে, বাহিনীর সুবিধে-অসুবিধে জানানোর জন্য একাধিক মোবাইল অ্যাপলিকেশন খোলা হয়েছে। প্রয়োজনে নিজের পরিচয় গোপন রেখেও সেখানে অভিযোগ জানাতে পারেন বাহিনীর সদস্যরা।
আজকের অনুষ্ঠানে সশস্ত্র সীমা বলের অধীনে একটি আলাদা গোয়েন্দা বিভাগ গঠন করার ঘোষণা করেন রাজনাথ সিংহ। অফিসার ও ফিল্ড এজেন্ট মিলিয়ে ওই গোয়েন্দাবাহিনীতে থাকবেন ৬৫০ জন। বাহিনীর ডিজি অর্চনা রামসুন্দরম বলেন, ‘‘নেপাল ও ভুটান সীমান্তে মূলত পাহারার দায়িত্বে রয়েছেন এসএসবি-র জওয়ানেরা। এই গোয়েন্দাবাহিনীর কাজ হবে মূলত জাল নোট, অস্ত্র পাচার, মানবপাচার রুখতে বাহিনীকে সাহায্য করা।’’ বিশেষ ভাবে নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে জাল নোট রোখাই প্রধান দায়িত্ব হতে চলেছে ওই বাহিনীর। আজ প্রতিটি বাহিনীর শহিদ জওয়ানদের কোনও এক জন সন্তানের পড়াশোনার ভার বাহিনীর কোনও আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল অফিসারকে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শহিদ জওয়ানদের পরিবারের পুনর্বাসনের প্রশ্নে সম্পূর্ণ নতুন একটি পরিকল্পনা আনার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে মন্ত্রক।