বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মন্ত্রক সংক্রান্ত বাজেটের ব্যয় বরাদ্দ পাশ করিয়ে নেওয়া হলেও অর্থ বিল পাশ হয়নি। ফাইল চিত্র ।
আদানিকাণ্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি)-র মাধ্যমে তদন্তের দাবিতে সরব বিরোধী সাংসদরা। অন্য দিকে, শাসক বিজেপির সাংসদরা সরব কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর লন্ডনে করা বিতর্কিত মন্তব্যের ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে। যার ফলে কার্যত অচলাবস্থা রয়েছে সংসদের উচ্চ এবং নিম্নকক্ষে। সেই আবহেই আগামী অর্থবর্ষে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকে ৪৫ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় করার পথ প্রশস্ত করে ফেলল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোনও আলোচনা ছাড়াই লোকসভায় ন’মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে পাশ করিয়ে নেওয়া হল সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক সংক্রান্ত বাজেটের ব্যয় বরাদ্দ। আদানিকাণ্ডে বিরোধী সাংসদরা জেপিসি তদন্তের দাবিতে সরব থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ-সহ অন্য মন্ত্রীদের উপস্থিতিতেই ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে সরকারের বাজেটের খরচ সংক্রান্ত বিল সংসদে পাশ করিয়ে নেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। যদিও বৃহস্পতিবার দুপুরেই লোকসভার ডেপুটি স্পিকার জানিয়ে দিয়েছিলেন, সন্ধ্যা ছ’টায় বাজেটের ব্যয় বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা হবে।
সন্ধ্যাবেলা লোকসভায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক সংক্রান্ত বাজেটের ব্যয় বরাদ্দ পাশ করার আগে স্পিকার বলেন, “অনুদানের দাবির বিষয়ে অনেক সমর্থন পাওয়া গিয়েছে। সময়ের অভাবের কারণে আমি উপস্থাপিত সকল প্রস্তাবে সম্মতি জানালাম।’’
বাজেটের নথি অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ সালে কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রকে মোট আনুমানিক ব্যয় ৪৫ লক্ষ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে, যার মধ্যে মোট মূলধন ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ লক্ষ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষের ব্যয় আনুমানিক ৪১.৮ লক্ষ কোটি বলে হিসাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মন্ত্রক সংক্রান্ত বাজেটের ব্যয় বরাদ্দ পাশ করিয়ে নেওয়া হলেও অর্থ বিল পাশ হয়নি। শুক্রবার এই বিল পাশ করানো হতে পারে বলেই শাসক গোষ্ঠীর তরফে জানানো হয়েছে।
বিরোধী এবং শাসক দলের আলাদা আলাদা দাবিতে সংসদের দুই কক্ষেরই কার্যকলাপ এক প্রকার অচল। দু’পক্ষের অনড় অবস্থানের কারণে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে এখনও পর্যন্ত কোনও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়নি। শাসক শিবির সূত্রে খবর, অচলাবস্থার মধ্যে শুক্রবারই শেষ হয়ে যেতে পারে বাজেট অধিবেশন। তা না হলেও আগামী সোম বা মঙ্গলবার অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হতে পারে।