তবরেজ আনসারি। —ফাইল চিত্র
গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়নি তবরেজ আনসারির— ময়না-তদন্তের রিপোর্ট সে কথা বলছে। এক চিকিৎসকের মতে, একাধিক হাড় ভেঙেছিল ওই যুবকের। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণও হয়েছিল। ছিলেন আতঙ্কগ্রস্তও। তার জেরে তবরেজ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তবরেজের স্ত্রী শাইস্তা পরভিনের দাবি, ‘‘সিবিআই তদন্ত চাই। জেলা পুলিশের তদন্তে ভরসা নেই। মূল অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত। অন্য অভিযুক্তদেরও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়া উচিত।’’
গত ১৭ জুনে ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলায় গণপিটুনির পরে মৃত্যু হয় তবরেজের। সেই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আগেই তুলে নিয়েছিল পুলিশ। এ বার তাঁর ময়নাতদন্তের দায়িত্বে থাকা পাঁচ চিকিৎসকের এক জন জানিয়েছেন, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তবরেজের। ভিসেরা তদন্তে বিষক্রিয়ার প্রমাণ মেলেনি। বি মার্ডি নামে ওই চিকিৎসক বলেন, ‘‘এটি আমার একার রিপোর্ট নয়। চিকিৎসকদের একটি দল এই রিপোর্ট বানিয়েছে।’’ এই রিপোর্টের ফলেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ খারিজ হয়েছে।
ধাতকিডিহ গ্রামে তবরেজকে একদল গ্রামবাসী চুরির অভিযোগে খুঁটির মারধর করে বলে অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় দেখা যায়, তাঁকে জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’, ‘জয় হনুমান’ বলার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। ২২ তারিখ সকালে তবরেজ মারা যান। ময়না-তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ ১১ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে। খুনের অভিযোগের পরিবর্তে অনিচ্ছাকৃত হত্যা সংক্রান্ত ৩০৪ ধারা যুক্ত করা হয়েছে। গত সপ্তাহে আত্মসমর্পণ করেছে আরও এক জন। খুনের অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছে সে-ও।