রামমন্দিরের বাইরে ভক্তদের জুতোর স্তূপ। ছবি: সংগৃহীত।
অযোধ্যায় রামমন্দিরের মূল দরজার সামনে ভক্তদের পাদুকার পাহাড়! আর সেই জুতো সরাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মন্দির কর্তৃপক্ষকে। প্রতি দিন কয়েক হাজার জুতো সরাতে হচ্ছে তাঁদের। আর তার জন্য আনাতে হয়েছে পেলোডারও।
রামমন্দির নিয়ে পুণ্যার্থীদের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই। কুম্ভে পুণ্যাস্নান সেরে অযোধ্যায় রামমন্দির দর্শন গিয়েছেন লাখ লাখ পুণ্যার্থী। বিপুল ভিড় সামলাতে মন্দির কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করেছিলেন। তার মধ্যে এখনও কয়েকটি চালু রয়েছে। মন্দির দর্শনের জন্য ১ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করতে হচ্ছে পুণ্যার্থীদের। সেখানে জুতো খুলে রাখতে হচ্ছে তাঁদের। মন্দির দর্শন শেষে পুণ্যার্থীদের বেরোতে হচ্ছে ৩ নম্বর এবং অন্য গেট দিয়ে।
মন্দির দর্শনের পর ভিতরে অনেক পথ ঘুরিয়ে অন্য গেট দিয়ে যখন পুণ্যার্থীদের বার করা হচ্ছে, সেখান থেকে ১ নম্বর গেটে এসে জুতো সংগ্রহ করতে পুণ্যার্থীদের হাঁটতে হচ্ছে ৫-৬ কিলোমিটার। এই দীর্ঘ পথ হেঁটে জুতো সংগ্রহ করতে অনেকই আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। ফলে মন্দিরের মূল প্রবেশপথে হাজার হাজার পুণ্যার্থীদের জুতো পড়ে থাকছে। সেগুলিকে প্রতি দিন সরানোর কাজ চলছে। পেলোডারের মাধ্যমে সেই জুতো সরিয়ে ৪-৫ কিলোমিটার দূরে ফেলে আসা হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছে অযোধ্যা পুরসভা।
কুম্ভ শুরু হয়েছিল গত জানুয়ারিতে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে পুণ্যস্নান। ৬০ কোটিরও বেশি পুণ্যার্থী সঙ্গমে স্নান করেছেন বলে দাবি উত্তরপ্রদেশ সরকারের। পুণ্যার্থীরা কুম্ভে এসেছেন তার পাশাপাশি কাশী বিশ্বনাথ মন্দির এবং অযোধ্যার রামমন্দিরও দর্শন করেছেন। বিপুল ভক্তের সমাগমে পরিস্থিতি যাতে বিগড়ে না যায়, তাই পুণ্যার্থীদের মন্দির দর্শন, মন্দিরে প্রবেশ এবং বেরোনোর বিষয়ে কয়েকটি নিয়ম চালু করেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। দর্শনের পর মন্দিরর বিভিন্ন গেট দিয়ে পুণ্যার্থীদের বাইরে বেরোতে হয়েছে। যা মূল প্রবেশপথ থেকে অনেকটা দূরে। আর এই পথ অতিক্রম করে মূল প্রবেশদ্বারের সামনে থেকে জুতো নিতে আসার কোনও আগ্রহ দেখাচ্ছেন না পুণ্যার্থীরা। যা এখন ‘মাথাব্যথার’ কারণ হয়ে উঠেছে মন্দির কর্তৃপক্ষের।